ছাত্রদলের মিছিলে ছাত্রলীগের হামলা

প্রকাশিত: ৬:০৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৮, ২০১৭

ছাত্রদলের মিছিলে ছাত্রলীগের হামলা

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্বঘোষিত ছাত্রদলের মিছিলের ওপর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছেন। এতে ছাত্রদলের তিন কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের থানার ফটকের সামনে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।

ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: সংগৃহীতবিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি ওমর ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে কেন্দ্র–ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। সকাল সোয়া সাতটার দিকে ক্যাম্পাসসংলগ্ন ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার শেখপাড়া বাজার থেকে মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি থানা এলাকায় পৌঁছালে ওই মিছিলের ওপর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিমের নেতৃত্বে শতাধিক নেতা–কর্মী হামলা চালান। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হাতে রড, হকিস্টিক ও লাঠি ছিল। অতর্কিত হামলায় কামরুল ইসলাম, মাহবুব রহমান ও উল্লাস নামে তাঁদের তিনজন কর্মী আহত হন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে নিরাপদ স্থানে পাঠানো হয়েছে।

ওমর ফারুক বলেন, ‘ছাত্রলীগ মিছিলে হামলা চালিয়ে গণতান্ত্রিক রাজনীতির ধারাকে হামলা করল। আমরা সব সময় সহাবস্থান চাই। ভবিষ্যতে তারা সীমা অতিক্রম করলে সাধারণ ছাত্রদের নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’

কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম (ডান থেকে ষষ্ঠ) তাঁর ফেসবুকে এই ছবিটি পোস্ট করে স্ট্যাটাসে লেখেন,‌‍ ‘কাকডাকা ভোরে ছাত্রদলের গুন্ডাদের প্রতিহত করতে রাজপথে আমরা।’

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, হামলার একপর্যায়ে উভয় দলের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা–ধাওয়া শুরু হয়। ছাত্রলীগের নেতা–কর্মীদের ধাওয়ায় ছাত্রদলের নেতা–কর্মীরা পিছু হটে ছত্রভঙ্গ হয়ে পার্শ্ববর্তী আনন্দনগর গ্রামের দিকে চলে যান। পরে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানার নেতৃত্বে নেতা–কর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্রদল যাতে ক্যাম্পাসে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সে জন্য আমার নেতৃত্বে হামলা করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে ছাত্রদলকে কোনো রকম বিশৃঙ্খলা করতে দেওয়া হবে না। সব সময় তাদের প্রতিহত করা হবে।’

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রতন শেখ বলেন, তাঁর এলাকায় কোনো কিছু হয়নি। ঘটনাস্থল শৈলকুপা থানার মধ্যে পড়েছে। ক্যাম্পাস শান্ত রয়েছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ