ঢাকা ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৩:১৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১, ২০১৮
এইচএসসি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া প্রশ্নপত্র প্রচারের অভিযোগে পাঁচ জনকে আটক করেছে র্যাব-১। শনিবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও লিংক রোড এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।
আটক ব্যক্তিরা হলো- মিজানুর রহমান মিলন, রাফসান চৌধুরী, ও তানজির। অপর দু’জনের পরিচয় জানা যায়নি।
র্যাব-১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাসেম ডেইলি বাংলাদেশকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
র্যাব-১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাসেম বলেন, ‘এরা পুরনো প্রশ্ন কাটছাঁট করে বিজ্ঞাপন দিচ্ছিলো। এদের মধ্যে একজনকে একই অভিযোগে আগেও আটক করা হয়েছিল। ছাড়া পেয়ে আবার একই কাজ শুরু করেছে।’
আটক মিজানুর রহমান সম্পর্কে র্যাব জানায়, সে কুড়িগ্রাম থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়ে ফেল করেছে। ২০১৫ সাল থেকেই সে প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত। সে ২০১৫ সালে জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ছাড়াও পরীক্ষার রেজাল্ট পরিবর্তনের জন্য বিভিন্ন লোকজনে কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিতো। মিজান নিজেকে ঢাকা বোর্ডের একজন কর্মচারী বলে পরিচয় দিত এবং বকশিবাজার এলাকায় বসবাস করতো বলে জানাতো। সে মূলত একাধিক অ্যাকউন্ট থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করবে বলে বিভিন্ন পোস্ট দিত এবং এর জন্য অগ্রিম টাকা বিকাশের মাধ্যমে চাইতো। অনেক পরীক্ষার্থী প্রশ্নপত্র পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় তাকে বিকাশের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পাঠাতো।
র্যাব-১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাসেম বলেন, ‘মিজান আগের বিভিন্ন বোর্ড পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কাটছাঁট করে সরবরাহ করতো। ফেসবুকের বিভিন্ন লিংক থেকে পাওয়া প্রশ্নপত্রও সরবরাহ করতো সে। প্রশ্নপত্র বাবদ সে ৫০০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিতো বলে স্বীকার করেছে। এ পর্যন্ত আনুমানিক আট লাখ টাকা প্রশ্নপত্র সরবরাহের নামে নিয়েছে বলে সে জানিয়েছে।’
এদিকে আসামী রাফসান দুই বছর আগে ধরা পড়েছিল।
প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ রেজাল্ট পরিবর্তনের জন্য মোটা অংকের টাকা বিকাশের মাধ্যমে নিতো। মিজানের মতো একই কৌশলে সে প্রথমে ফেসবুকে প্রশ্নপত্র সরবরাহের আশ্বাস দিয়ে অগ্রিম টাকা নিতো। সে ২০১৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত তিন থেকে চার লাখ টাকা বিভিন্ন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে নিয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে ২০১৬ সালে ডিবি পুলিশ তাকে আটক করেছিল। সাত মাস জেলে থাকার পর বেরিয়ে আবার একই কাজে জড়িয়েছে।
এবার এইচএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে র্যাব বদ্ধপরিকর বলে জানান র্যাব-১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাসেম। তিনি বলেন, ‘এই অপরাধ ঠেকাতে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছি।’
Design and developed by zahidit.com