ঢাকা ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ২:৩১ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৪, ২০১৭
শামীম খান ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ঃ আর মাত্র কয়েক দিন পরেই ঈদুল আযহা বা কোনবানী ঈদ। এই ঈদে সমাজের বিত্তবানরা চেষ্টা করে তাদের সামর্থ মত পশু কোরবানী দেওয়ার। আর এই কোরবানী পশুর মাংশ বানাতে প্রয়োজন ছুড়ি, ডাসা, বটির। সে কারনে পশু কোরবানীর ছুড়ি,ডাসা, বটি বানাতে কর্মকারদের দোকানে যেতে হচ্ছে তাদের। আর বাড়তী কাজের চাপে ব্যস্ত সময় কাটছে কর্মকারদের।
মহেশপুরের বিভিন্ন এলাকার কর্মকারদের দোকান ঘুড়ে দেখে গেছে এই প্রতিনিধির সাথে কথা বলা তো দুরের কথা দম ফেলারও যেন সময় নাই তাদের। ঢুক ঠাক শব্দে লোহা পিটিয়ে তৈরি করছে ছুড়ি ,বটি, ডাসা। চারপাশে পরে আছে ছড়ি, কাচি, বটি ও লোহার টুকরা একটা রেখে আরেকটা ধরছে হাতের যেন বিরাম নেই।
বিভিন্ন দোকান ঘুরে মহেশপুর পৌর এলাকার চড়কতলা মোড়ের দিলিপ কর্মকারের দোকানে ঢুকতেই চোখ পরে ছুরি হাতে বসে থাকা নাটিমা গ্রামের শফিকুল ইসলাম দিকে। তিনি বলেন,সকাল থেকে বসে আছি হাতে থাকা ছুরিটা পোড়াবো বলে । না পোড়ালে এটা দিয়ে এবার ছাগল কোরবানী দিতে পারবো না। কিন্তু দিলিপ কামারের হাতের কাজই শেষ হচ্ছে না।এমনি আরো কয়েক জনকে বসে থাকতে দেখা গেছে।
কাজের ফাকে কিছু সময় কথা হয় দিলিপ কর্মকারের সাথে তিনি বলেন, ঈদ আসলেই বেড়ে যায় বাড়তি কাজের চাপ। দিন রাত খেটে লোহা পিটিয়ে তৈরি করতে হয় পশু কোরবানীর ছুড়ি,ডাসা,বটি। সারা দিন লোহা পিটিয়ে হাত অবস হয়ে যাচ্ছে বিশ্রাম নিতে পারছি না ।
তিনি আরও বলেন কোরবানী ঈদের কয়েকদিন কাজের চাপ বেশি থাকে আর বাকি সময় গুলো অলস ভাবে কাটাতে হয়।
একই কথা বলেন রতন কর্মকার আর মহেশপুর বাজারের সাধন কর্মকার বলেন,কয়লা,লোহার দাম বেড়েছে সে তুলনায় মুজুরী পাই না ,বাব দাদার পেশা তাই এ পেশা ছেড়ে দিতে পারছি না।
Design and developed by zahidit.com