ঝিনাইদহে বেতন ভাতা না পেয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন শতাধিক শিক্ষকের ঈদ অনিশ্চিত

প্রকাশিত: ৪:২৯ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৩, ২০১৭

ঝিনাইদহে বেতন ভাতা না পেয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন শতাধিক শিক্ষকের ঈদ অনিশ্চিত

আহমেদ নাসিম আনসারী

 

ঝিনাইদহ সদর উপজেলায় সদ্য সরকারীকরণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষকের শ্রান্তি বিনোদন ভাতা পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তারা এ ভাতা আদৌ পাবেন কিনা এ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

তাছাড়া, ঈদুল আযহা দুয়ারে কড়া নাড়লেও জুলাই-২০১৭ মাসের বেতনও তারা এখন পর্যন্ত পাননি বলে জানা গেছে। বেতন ভাতা না পেয়ে এসব শিক্ষকের ঈদুল আযহা উদযাপন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের গাফলতির কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারী কর্মচারীদের তিন বছর পর পর মুল বেতনের সমপরিমান টাকা শ্রান্তি বিনোদন ভাতা হিসেবে দেওয়া হয়। ২০১৩ সালে সরকারীকরণকৃত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ২০১৬ সালে এ ভাতা পাওনা হয়। সে বছর তারা তা পাননি। এ বছর ২০১৭ সালে তাদের এ ভাতা পাওয়ার কথা ছিল। গত রমজানের ঈদে জেলার অন্যান্য উপজেলার সকল শিক্ষক এ ভাতা পেয়েছেন। শুধু সদর উপজেলার ৩ শতাধিক শিক্ষক এ ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন।

শিক্ষকরা জানিয়েছেন, সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের উদাসিনতা ও গাফলতির কারণে তারা এ ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। শিক্ষকদের অভিযোগ, ভাতা প্রদানের জন্য যে চাহিদাপত্র শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রেরণ করতে হয় তিনি তা করেননি। তাছাড়া, জুলাই-২০১৭ মাসের নিয়মিত মাসিক বেতনও তারা শিক্ষা অফিসারের গাফলতির কারণে এখন পর্যন্ত পাননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান, সামনে ঈদ, কোরবানী দেওয়া তো হবেই না। ছেলে মেয়ে নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। তাছাড়া, অনেকের ব্যাংকসহ বিভিন্ন জায়গায় ধার দেনা আছে। টাকা দিতে না পারলে সেখানেও সুদ গুণতে হবে।
সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার মুসতাক আহমেদ জানান, টাকা স্বল্পতার কারণে কিছু শিক্ষক শ্রান্তি বিনোদন ভাতা পাননি। এ টাকা বরাদ্ধের জন্য চাহিদা পত্র পাঠানো হয়েছে। আশা করা যায় ঈদের আগেই তা শিক্ষদের দেওয়া সম্ভব হবে। তাছাড়া, জুলাই ও আগষ্ট মাসের বেতনও তারা ঈদের আগেই পাবেন।

 

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ