শৈলকুপা-লাঙ্গলবাধ ভায়া ধলহরাচন্দ্র সড়কটি কি বেওয়ারিশ?

প্রকাশিত: ১০:৫৬ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০১৭

শৈলকুপা-লাঙ্গলবাধ ভায়া ধলহরাচন্দ্র সড়কটি কি বেওয়ারিশ?

শৈলকুপা থেকে..
ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা-লাঙ্গলবাধ ভায়া ধলহরাচন্দ্র সড়কটি বর্তমানে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।  এই সড়কটি যেন মরন ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

একটু বৃষ্টি হলেই সড়কের মাঝখানের গর্তগুলোতে পানি জমে মিনি পুকুরে পরিণত হয়। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন দেড় থেকে দুইশত যানবাহন চলাচল করে থাকে।

এদিকে সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় স্কুল, কলেজ, মাদরাসার শত শত শিক্ষার্থী ও মূমুর্ষরোগীসহ সর্ব সাধারণের ভোগান্তি চরমে

বর্তমানে দীর্ঘ ৪-৫ বছর এই সড়কটি সংস্কার না করায় পিচ, পাথর ও ইটের খোয়া উঠে রাস্তার মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে যাত্রীদের। ১৫ কিলোমিটার সড়কটিতে থানা সদরে যাইতে দেড় থেকে দুই ঘন্টারও বেশি সময় লেগে থাকে জনসাধারণের।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে এই সড়ক দিয়ে লাঙ্গলবাধ, কুশোবাড়ীয়া, ধলহরাচন্দ্র, ধাওড়া, ছোট ধলহরা, খালকুলা, পাইকানপাড়া, শীতালী, মালিথিয়া, নন্দিরগাথী, হাজরা মিনা, পাইকপাড়া, দলিলপুর, আওধা, কোমলনগরসহ প্রায় ৪০টি গ্রামের জনসাধারন প্রতিদিন থানা সদর ও রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করে থাকে।

থানা ও জেলা সদরের সাথে যোগাযোগের একটি মাত্র সড়ক এটি তাই জীবনের ঝুকি নিয়ে যাত্রীদের প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতে হচ্ছে।

ইতোমধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় অনেকেরই মৃত্যু ও পঙ্গু হতে হয়েছে। বর্তমানে সড়কটি চলাচলের অনুপাযোগী হওয়ার কারণে লাঙ্গলবাধ বাজারে ও থানা সদরের বাজারে কৃষকদের বিক্রিত পণ্য নিতে ২০ টাকার ভাড়া ৫০ টাকা যানবাহন মালিকদের দিতে হচ্ছে।

এ ব্যাপারে বেবিট্যক্সি চালক শহিদুল ইসলাম ও আবদুস সাত্তার জানান রাস্তার যে অবস্থা তাতে যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী পরিচালক মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন জানান নতুন করে অর্থ বরাদ্দ আসলে এই সড়কটি পুন: সংস্কার করা হবে।

এলাকাবাসী দ্রুত এই সড়কটি পুন: সংস্কার করার জন্য সরকারের সড়ক ও জনপদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ