শৈলকুপায় যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ

প্রকাশিত: ৬:২২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৪, ২০২২

শৈলকুপায় যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ

ঝিনা্ঝইদহ সংবাদ ডেস্ক  ঃ ইদহে ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু পরিবারকে অত্যাচার ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। আজ শনিবার দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে নির্যাতিত সংখ্যালঘু পরিবারের পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করেন তন্ময় মজুমদার। অপরদিকে এ অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা জমি ক্রয়-বিক্রয় নিয়ে চতুরতার আশ্রয় নেওয়ার অভিযোগ তোলেন যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শিমুল।

তন্ময় মজুমদার শৈলকুপা উপজেলার বগুড়া গ্রামের তুষার কান্তি মজুমদারের ছেলে। তার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তার পিতা তুষার কান্তি মজুমদার, ভাই চিন্ময় কুমার মজুমদার, মা অমলা রানী মজুমদার ও দিদি তাপসি মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে তন্ময় মজুমদার বলেন, ঝিনাইদহ জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও শৈলকুপার বগুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শিমুলের সমর্থক ফরিদ মেম্বর ও মাহাতাব খা ২০২১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি তারিখে আমাকে শ্রীপুর বাজারে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেন।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় আমার পিতা তুষার কান্তি মজুমদার নিজের প্রাণ রক্ষা ও জমিজমা রক্ষার স্বার্থে আমার নামে মামলা করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। আমি ২০২১ সালের ১৫ মার্চ থেকে ওই সালের ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কারাভোগ করি। কারাগারে থাকা অবস্থায় শিমুলের সমর্থক বাহিনী আমার পরিবারের ওপর নির্যাতন করতে থাকে।

তিনি আরও বলেন, আলফাপুর রত্নাট বগুড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে চল্লিশ শতক জমি দান করা হলেও দাতা সদস্য হিসেবে আমার পিতার কোনো নাম রাখা হয়নি। এলাকার আতিয়ার, লাল মিয়া, কামাল ও বিল্লাল আমাদের বেনামাকৃত জমি ফেরতের কথা দিলেও যুবলীগ নেতা শিমুলের ক্ষমতার প্রভাবে তা করছে না। এ ছাড়া দুটি পুকুরের লিজের টাকাও দিচ্ছে না।

তিনি বিষয়টি সুরাহার জন্য চেয়ারম্যান শিমুলকে জানালে চেয়ারম্যান এ বিষয়ে কোনোকিছু করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

অপরদিকে, অভিযুক্ত শফিকুল ইসলাম শিমুল তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে আমি কোনোভাবেই সম্পৃক্ত নই। রাজনীতি ও সামাজিক প্রতিহিংসার কারণে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। আমি দুই পক্ষকে ডেকে একটি সমাধানের চেষ্টা করেছি। তা ছাড়া তন্ময় মজুমদারের পরিবারের বিরুদ্ধে জমি বিক্রি নিয়ে নয়ছয় করার অভিযোগ আছে।

এদিকে তন্ময় মজুমদার সংবাদ সম্মেলেন করার পরপরই তার প্রতিপক্ষ মাহাতাব খাঁ পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি দাবি করেন, তন্ময় মজুদমার জমি বিক্রির জন্য অঙ্গীকারনামা সম্পাদন করলেও তিনি বায়নার টাকা নিয়ে জমি দিচ্ছেন না। তন্ময় মজুমদার তাদের কাছ থেকে দুই লাখ ৮০ হাজার টাকায় জমি বিক্রির চুক্তি করে অগ্রিম দুই লাখ ২০ হাজার টাকা নগদ গ্রহণ করেন। বাকি ৬০ হাজার টাকা জমি রেজিস্ট্রির সময় নিবেন বলে অঙ্গীকারনামায় উল্লেখ করেন।

এদিকে মাহাতাব খাঁ যে অঙ্গীকারনামা সংবাদ সম্মেলনে প্রদর্শন করেন তাতে জমির পরিমাণ ২৯ শতকের স্থলে ৬৯ শতক ও দুই লাখ ৮০ হাজার টাকার স্থলে অংকে ২০ লাখ ৮০ হাজার টাকা লেখা আছে। ফলে ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লেখা এই অঙ্গীকারনামা সঠিক না জাল তা নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন উত্থাপন করলে মাহাতাব খাঁ ও তার সঙ্গে উপস্থিত ব্যক্তিরা কোনো সদুত্তর দিতে পারেনি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ