মহেশপুরে ৩৬টি পূজা মন্দিরের প্রস্ততি শেষ

প্রকাশিত: ৪:১০ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৭

মহেশপুরে ৩৬টি পূজা মন্দিরের প্রস্ততি শেষ

আর মাত্র দুই দিন পরেই হিন্দু ধর্মাবল্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা। সারা দেশের ন্যায় ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নের ৩৬টি মন্দিরে দূর্গা প্রতিমা তৈরির প্রস্ততি প্রায় শেষ।

এখন শুধু দূর্গাকে বরণ করে নিতে অপেক্ষায় দিন গুনছেন ধর্মাবল্মীরা। কাশফোটা শরতের শারদীয় দূর্গাউৎসবকে পরিপূর্ন রুপ দিতেই মন্দিরগুলোতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি । প্রতিমা শিল্পীরা কল্পনায় দেবী দূর্গার অনিন্দ্যসুন্দর রুপ দিতে  দিন-রাত পরিশ্রম করে তৈরি করেছেন প্রতিমা।  নিখুত হাতের কারুকার্য  আর রং তুলির আঁচড়ে প্রতিমা গুলোকে নবরুপ দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন প্রতিমা শিল্পীরা। সনাতন ধর্মবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসবকে ঘিড়ে হিন্দুপাড়া গুলোতে বইছে শারদীয় উৎসবের আমেজ । উঁচু-নিচুর বিভেদ ভুলে সমাজের সকল স্তরের মানুষকে একত্র করে মহাসম্মেলন হয় বলে এ পূজাকে বলা হয় সার্বজনীয় পূজা। আর শরৎ কালে কালে হয় বলে বলা হয় শারদীয় উৎসব। হিন্দুসম্প্রদায়ের দূর্গতিনাশীনী দূর্গাদেবীকে বরণ করে নিতে প্রতিটি মন্ডপের  কাজ প্রায় শেষের দিকে চলছে আলোক সজ্জার কাজ ।
প্রতিমা তৈরি শিল্পী পলাশ কুমার বলেন ,২৬ তারিখ থেকে পূজা শুরু আর আমাদের প্রতিমা তৈরি ও রং তুলির কাজও প্রায় শেষ।
মহেশপুর পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক  প্রবীর কুমার দাস বলেন, এবার মা দূর্গা আসবে নৌকায় করে আর যাবে ঘোড়ায় চড়ে। সে উপলক্ষে মহেশপুর উপজেলার ৩৬টি মন্দিরের সকল প্রস্ততি শেষ । এখন শুধু আলোক সজ্জার কিছুটা কাজ বাকি আছে।
শারদীয় দূর্গা উৎসবে নিরাপত্তা বিষয় নিয়ে মহেশপুর থানার (ওসি)  আহম্মেদ কবির জানান, উৎসবে অপ্রতিকর ঘটনা রোধে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছেন।  ইতিমধ্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন পূজা মন্ডপের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছেন।
দেবীকে স্বাগত জানাতে সনাতন ধর্মাবল্বীদের সর্বত্র আনন্দঘন পরিবেশ বিরাজ করছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ