হরিণাকুন্ডুতে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ

প্রকাশিত: ৫:৩২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৭

হরিণাকুন্ডুতে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ

মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে মৃত সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে সহকারি শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার সোনাতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। গত ২৮আগস্ট ঈদুল আযহা উপলক্ষে বন্ধ হওয়ার তারিখে শেষ কর্মদিবসে একজন মহিলা স্কুলে এসে নিজেকে ঐ স্কুলের সহকারি শিক্ষক দাবি করলে এই ঘটনা জানাজানি হয়। তিনি জানান গত ২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে সাবেক সভাপতি মৃত পরিমল কুমার সাধু খাঁ আমাকে এই স্কুলের সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করেছেন। আমি বিভিন্ন কারনে স্কুলে উপস্থিত হতে পারি নাই এখন থেকে আমি নিয়মিত স্কুলে উপস্থিত হব। বিদ্যালয়ের ছাত্র এবং শিক্ষক ও অভিভাবক বলেন কবে নিয়োগ হয়েছে এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না । এ ঘটনায় এলাকার সাধারন মানুষের মধ্যে মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। তবে প্রধান শিক্ষক শাহাবুদ্দীন জানান, সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে সহকারি শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি সঠিক নয়। একটি মহল ব্যাপক অপতৎপরতা চালাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছেন ১২লাখ টাকার বিনিময়ে প্রধান শিক্ষক শাহাবুদ্দীন সাবেক সভাপতি পরিমল কুমার সাধু খা’র স্বাক্ষর জাল করে এ নিয়োগ সম্পন্ন করেছে। কয়েকজন সহকারি শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এ স্কুলে অনেক কিছুই সম্ভব, সরকারের হাতে নিয়োগ চলে যাওয়ার পরেও প্রধান শিক্ষক এখানে ব্যাকডেটে সার্কুলার দিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এ নিয়োগ দিয়েছেন। অন লাইনে এমপিও সীটে খোজ নিয়ে নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ বিষয়ে দৌলতপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক জেলা মাধ্যমিক শিÿা কর্মকর্তা ও দৌতলপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ পত্রে জানা যায়, প্রধান শিক্ষক শাহাবুদ্দীন ১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে সাবেক সভাপতি পরিমল কুমারের মৃত্যুর পর তার স্বাক্ষর জাল করে ব্যাকডেটে একই ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মিলনের স্ত্রী নাসিমা খাতুনকে সহকারী শিক্ষক হিসাবে নিয়োগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে দৌলতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী জানান, আমি খোজ খবর নিয়েছি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগটি সঠিক বলে জানাগেছে। বিষয়টি জানতে চাইলে সোনাতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির বর্তমান সভাপতি বিমল কুমার সাধু খাঁ মুঠোফোনে কথা বলতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। জানতে চাইলে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকছেদুল ইসলাম জানান, আমি ছুটিতে ছিলাম বিষয়টি আমার জানা নেই। পরে খোঁজ নিয়ে দেখবো।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ