ঈদের ছুটি ৩ দিনই থাকছে

প্রকাশিত: ২:৪০ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৯, ২০১৭

কোরবানির ঈদের ছুটি বাড়বে কি না সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার, মন্ত্রিসভা বৈঠকেও এনিয়ে আলোচনা হয়নি। ফলে বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবের ছুটি বাড়াতে মন্ত্রিসভায় যে প্রস্তাব ওঠার গুঞ্জন ছিল সে বিষয়ে আপাতত কোনো সিদ্ধান্ত হচ্ছে না বলেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

আগামী ২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। আগামী ১, ২ ও ৩ সেপ্টেম্বর কোরবানির ঈদের সাধারণ ছুটি নির্ধারিত আছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার তার কার্যালয়ে কোরবানির ঈদের আগে মন্ত্রিসভার শেষ নিয়মিত বৈঠক হয়েছে।

বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের প্রশ্নে বলেন, ছুটি নিয়ে আমরা কোনো সিদ্ধান্ত পাইনি, (মন্ত্রিসভা বৈঠকে) আলোচনাও হয়নি।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় গত রোজার ঈদের ছুটি তিনদিন বাড়িয়ে ছয়দিন করার প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়েছিল। কিন্তু ওই প্রস্তাবটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন না করেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা তা আরও যুক্তিযুক্ত করে উপস্থাপনের নির্দেশনা দিয়ে ফেরত পাঠান।

পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্ন্যান্স ইনোভেশন ইউনিট ঈদের ছুটি ছয়দিন করার সুপারিশ করে। সেক্ষেত্রে নৈমিত্তিক ছুটি ২০ দিনের পরিবর্তে ১৪ দিন করার প্রস্তাব ছিল তাদের।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় রোজার ঈদের আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফাইল পাঠালেও এখনও তা ফেরত আসেনি। প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন না মেলায় প্রস্তাবটি মন্ত্রিসভায়ও তোলা হয়নি।

রোজার ঈদের ছুটি না বাড়লেও কোরবানির ঈদের ছুটি বাড়ছে বলে এই ঈদের আগে শেষ মন্ত্রিসভা বৈঠকের দিকে অনেকেরই নজর ছিল।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, দেশের বন্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এবার ঈদের ছুটি আর বাড়ছে না বলেই আমরা ধারণা করছি। মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ঈদের বন্ধে কর্মস্থলে থাকতে ইতোমধ্যেই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ত্রাণ কার্যক্রমসহ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বিভিন্ন সরকারি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখাতে ঈদের ছুটি আর বাড়ছে না বলেই আমরা মনে করছি।

মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত ছাড়াই নির্বাহী আদেশে ঈদের ছুটি বাড়ানোর ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীর হাতে রয়েছে বলেও স্মরণ করিয়ে দেন ওই কর্মকর্তা।

গভর্ন্যান্স ইনোভেশন ইউনিট ছুটি বাড়ানোর সুপারিশে বলেছিল, প্রধান ধর্মীয় উৎসবের ছুটি বাড়িয়ে জনদুর্ভোগ লাঘব হতে পারে। ছুটি ছয়দিন হলে যানবাহনের ওপর চাপ, যানজট ও দুর্ঘটনা কমবে। ছুটি থেকে চাকরিজীবীদের কর্মস্থলে সানন্দে ফেরার প্রবণতা বাড়বে।

অফিস খোলার দিন থেকে পুরোদমে অফিস চালু হবে; এতে অফিসের লিফট, গাড়িসহ ইউটিলিটি সার্ভিসের সদ্ব্যবহার নিশ্চিত হবে বলেও সুপারিশে বলা হয়।