পরিবর্তন ধীরে ধীরে ধরণীর পরে,
বহুদিন পরে ধরা দেয় আপনারে।
পরিবর্তন আবার পরিবর্তন হয়,
এমনি করে ধরার পরে গ্রাহ্য পায়।
স্বার্থজ্ঞানে মানবসৃষ্ট পরিবর্তন সার
শুরু হয় পরিবেশে বিলুপ্ত অনাচার।
আবহাওয়ার নিয়ামক পরিবর্তনে,
লন্ডভন্ড সংশয় সবার মনে মনে।
বৃক্ষরোপণ এর চমৎকার প্রতিকার,
বৃক্ষ পরিবর্তনও অনিবার্য আবার।
তালের আটি রোপন তাই অনিবার্য,
সুষ্ঠু পরিবেশ আনায়নে উত্তম কার্য।
তালগাছ প্রতিরোধ করে বজ্রনিপাত,
দু সারি তাল তমালে রাস্তা পারিজাত।
জিও, এনজিও, জনগণ সবাই মিলে,
তাল, খেজুর দেশমাতার করকমলে।
দেশমাতা খুশি, আমরা খুশিরে ভাই,
আসুন তাই সবাই মিলে বৃক্ষ লাগাই।
কার্ডিনাল উষ্ণতার চরমে বৃক্ষ সরে,
বিদেশের বৃক্ষ আজ জন্মে দেশভরে।
স্বদেশী ফল বেশি বিদেশের মাটিতে,
মরু ফল আজি হচ্ছে উজান ভাটিতে।
বাণিজ্যিকভাবে চলছে ড্রাগন চাষ,
কৃষিতে বইছে তাই সুখের বাতাস।
মাল্টা চাষে আমাদের সফলতা,
সবার জানা সেই মিষ্টি মধুর কথা।
বারি মাল্টার আশা জাগানিয়া গান,
কৃষকের ঝুলিতে সেটা নব ফরমান।
নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ুর উষ্ণায়ন
তাই দেশে দেশে চাষে এ পরিবর্তন।
ফসলের রকমারি প্রবর্তন কাহিনী,
কতকথা আরও কথা মোরা সবজানি।
পরিবর্তনে গমনাগমনে এই যে, ধারা,
স্বকীয়তাসহ রবে শৌর্যে বীর্যে ভরা।
আমারে গড়িব আমি স্বীয় প্রচেষ্টায়,
বাংলার ঐতিহ্যে আমার গর্ব যাতে রয়।
আজিকার শিশু অবাক তাকিয়ে রয়,
কৃষির এই যে, পরিবর্ধন তার সময়।
হয়ত দেখেছে শিশু তার নয়ন হেরিয়া,
গাব, ডুংকর কবে যে, আসবে ফিরিয়া?
গাছ লাগিয়ে শিশু খাবে রকমারি ফল,
পাখি ডাকা রাঙা ভোরে বাংলা সুনির্মল।