ঢাকা ১লা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৯শে রবিউস সানি, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৫৮ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৬, ২০১৭
টিপু সুলতান; কালীগঞ্জ
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ২ নং জামাল ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মৃত হাকিম আলীর ছোট কন্যা ফাতেমা খাতুন (১০) বাল্য বিবাহের হাত থেকে মুক্তি চায়। ফাতেমা খাতুন গোপালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতূর্থ শ্রেণীর ছাত্রী। বয়স তার ১০ থেকে ১১ বৎসর। ফাতেমার বাবা হাকিম আলীর মৃত্যুর দু’বৎসর ফাতেমার গর্ভধারিনী মা ময়না বেগম দ্বিতীয় বিয়ে করে স্বামীর ঘর করছে। নাবালিকা ফাতেমার বড় দু’বোন জলি ও রানির বিয়ে হয়ে গেছে পিতা হাকিম আলী বেচে থাকতে। আর মা ময়না বেগম মাতৃত্বের দায় এড়াতে দেশের বাল্য বিবাহের নিষিদ্ধ আইনের তোয়াক্কা না করে কনিষ্ঠ ফাতেমা খাতুনেকে সাম্প্রতি জোর পূর্বক বিয়ের পিড়িতে বসানোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
মৃত হাকিম আলীর বড় মেয়ে জলি খাতুন জানায়, তার মা গত ১৭ই আগষ্ট ফাতেমাকে গোপালপুর থেকে ফুসঁলে দ্বিতীয় স্বামীর ঘরে নিয়ে যায়। এরপর মা ময়না বেগম মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে মাগুরা জেলার গঙ্গারামপুর গ্রামের ৩৫ বৎসর বয়সী বর টুটুল হোসেনের সাথে জোর করে দিয়েছে।
একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানাগেছে, নাবালিকা ফাতেমাকে স্বামী টুটুল হোসেন অত্যাচার নির্যাতন করছে। এমনকি ফাতেমা যাতে স্বামীর ঘর থেকে পালাতে না পারে সে কারনে তাকে বাড়ীর লোকজন ঘরের ভিতর আটকিয়ে রেখেছে। আর পিতৃহারা ফাতেমা দিনরাত কান্নাকাটি করছে। এ ব্যাপারে ফাতেমার মাতা ময়রা বেগমের সাথে ০১৯৩২-৬৬৭০৭৪ নং মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফাতেমার বাল্য বিবাহের কথা স্বীকার করেছে।
এদিকে ফাতেমার বড় বোন জলি খাতুন তার বৃদ্ধা দাদী, ফুফু, এবং চাচারা সাম্প্রতি ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জাতীয় সংসদ সদস্য গ্রাম্য মাতববর এবং এনজিও প্রতিনিধিদের ঘটনাটি অবহিত করে নাবালিকা ফাতেমাকে বাল্য বিবাহের কবল থেকে দ্রুত মুক্ত করতে আশু আইনী পদক্ষেপ গ্রহনের জোর দাবী জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শিবুপদ বিশ^াসের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী ফাতেমা খাতুনের বাল্য বিবাহ দেবার কথা শুনেছি এবং বিষয়াদি কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যারকে জানানো হয়েছে তিনি আইনী ব্যবস্থা নেবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
Design and developed by zahidit.com