ঢাকা ১০ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২রা জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ৩, ২০১৭
সাহিদুল এনাম পল্লব,,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ঃ ঝিনাইদহে খুলনা বিভাগের বৃহত্তর কলাহাটের বেহাল দশা দেখার কেউ নেই। ঝিনাইদহ বাস টার্মিনালের উত্তর পাশে মাত্র ৫ শত মিটার এগিয়ে গেলেই নজরে পড়বে রাস্তার পশ্চিম পাশে খুলনা বিভাগের বৃহত্তর কলাহাট। প্রথম দেখলে মনে হবে শহরের ময়লা আবর্জনা ফেলার মাঠ প্রকৃত পক্ষে এই টি হল ঝিনাইদহ জেলার কলার হাট।
কলা ঝিনাইদহ জেলার একটি বিশেষ অর্থকারী ফসলের মধ্যে অন্যতম। ঝিনাইদহের মাটি কলা চাষের উপযুক্ত হওয়ার কারনে এখানে প্রচুর কলা জন্মে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এই কলাহাট থেকে প্রতিদিন প্রায় ৩০/৪০ ট্রাক কলা ঢাকা, সিলেট, বরিশাল, কুলিল্লা, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চাপাইনবাবগঞ্জ ও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন স্থানে যায়।কিন্ত কালা হাটের বেহাল দশার কারনে দিন দিন আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে কলা ব্যবসাহিরা। প্রতিবছর প্রায় ২৮ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা সরকারের রাজস্ব আদায় হয় এবং অনেক মানুষ দিন মজুর হিসাবে এখান থেকে জিবিকা নির্বাহ করে থাকে। রক্ষনা বেক্ষনার অভাবে এই হাট ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মুল হাটে পানি, কাদা ময়লা, আবর্জনা জমে যাওয়ার ফলে ব্যবসাহিরা বাধ্য হচ্ছেন রাস্তার উপর কলা বেচা কেনা করতে। ফলে গাড়ি চলা চলার ব্যপক অসুবিধা ও কয়েক বার সড়ক দুর্ঘটনায় কয়েক জন নিহত হয়েছে। যারা এখানে দিন মজুর হিসাবে কাজ করে তাদের পায়ে পচন রোগ দেখা দিয়াছে। তারপরে পেটের অভাবে এখানে তারা কাজ করতে যাচ্ছে।
এক ব্যাপারী জানান মুলহাটে কাদা পানি হওয়ার কারনে আমাদের ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। আমরা কলার কাদি প্রতি দেড় টাকা করে খাজনা দেই। যারা বিক্রয়ের জন্য কলা নিয়ে আসে তারা কাধি প্রতি আট আনা করে তোলা দেয়। তাতে কাধি প্রতি গড়ে ২ টাকা করে পায় হাট কমিটি। যখন কলার পূর্ণ সময় থাকে তখন এই হাটে প্রায় ৫০/৬০ হাজার কাধি কলা বেচা কেনা হত। এখন প্রতিদিন প্রায় ৬ হাজার কাধি কলা বেচা কেনা হয়। সপ্তাহে ৫ দিন এখানে কলার হাট বসে সে ক্ষেত্রে হিসাবে করলে মাসে এখান থেকে প্রায় ৩ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় হয়। অথচ হাটের দিকে একটু খেয়াল নেই।
এই হাটে বেচাকেনা করতে আসা ব্যবসাহিরা বলেন ৪/৫ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হাটে উচু করে মাটি দিয়ে ইট বিছায়ে পাকা করে একটি হাট চাঁদি ঘর তুলে দিলে সমস্যার সমাধান হয়।
এই প্রসঙ্গে হাট কমিটির সভাপতি পৌর কমিশনারের জাহিদুল ইসলামের নিকট জানতে ফোন দিলে সে ফোন রিসিপ না করায় তার কোন প্রতিক্রিয়া জানা সম্ভব হয়নি।
সম্পাদক – মাহমুদ হাসান টিপু
নির্বাহী সম্পাদক – পিন্টু লাল দত্ত
বার্তা সম্পাদক – সোহাগ আলী
www.jhenaidahsongbad.com
jhenaidahsongbad@gmail.com
প্রকাশক- জাহিদুল ইসলাম বাবু মিয়া
ব্যবস্থাপনা পরিচালক – মোঃ মজিবুর রহমান সরকার
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সড়ক,ঝিনাইদহ
০১৭১১২৬০৩৯৩ / ০১৭১১৪৫২০৫১
Design and developed by zahidit.com