দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায়

প্রকাশিত: ১২:৫১ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০১৭

দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায়

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বোর্ড নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হচ্ছে। অভিভাবকেরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশিষ্টদের কাছে বিষয়টি জানিয়েছেন।

জানা গেছে উপজেলার গাড়াবাড়িয়া সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল আলিম ফরম পূরণে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বোর্ড ফি’র অজুহাতে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন। ওই মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থী রাব্বির পিতা আবুল কাশেম লাভলু জানান, ফরম পূরণে তার ছেলের কাছ থেকে সুপার আব্দুল আলিম বোর্ড ফি’র অজুহাতে রশিদের মাধ্যমে ২ হাজার ৪শত টাকা নিয়েছেন। জুয়েল, রণিসহ একাধিক দাখিল পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে এরকম গলা কাটা ফি আদায় করা হয়েছে।

গাড়াবাড়িয়া সিদ্দিকীয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল আলিম বলেন, ফরম পূরণে বোর্ড নির্ধারিত ফি ১ হাজার চারশত পঁচাশি টাকা। তবে কোচিং এর জন্য ৩০০ টাকা এবং বোর্ডসহ ঢাকা-খুলনা যাতায়াত বাবদ মোট চব্বিশ শ’ টাকা নিচ্ছি। এ অতিরিক্ত টাকা নিতে ম্যানেজিং কমিটি তাকে অনুমতি দিয়েছেন বলে জানান। তিনি আরো জানান হরিণাকুন্ডু মাদ্রাসা ৩ হাজার ও রঘুনাথপুর মাদ্রাসা ফরম পূরণে ২ হাজার আটশত টাকা করে আদায় করছেন বলেও জানান তিনি।

জেলা শিক্ষা অফিসার মোকছেদুল ইসলাম বলেন, কোনো ক্রমেই বোর্ড নির্ধারিত ফি’র চেয়ে অতিরিক্ত টাকা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা যাবে না। অতিরিক্ত টাকা নিলে তা অবশ্যই প্রতিষ্ঠান প্রধানকে ফেরত দিতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ পেলে অবশ্যই সেসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান তিনি।

হরিণাকুন্ডু উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, একজন শিক্ষার্থীর রশিদ বইয়ের মাধ্যমে জানতে পেরেছি অতিরিক্ত টাকা নেয়ার বিষয়টি। রাব্বি, জুয়েল রণিসহ একাধিক ছাত্রের কাছ থেকে সুপার ২হাজার চারশত টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছেন। সুপারকে ডাকা হয়েছে। বোর্ড নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত টাকা আদায় করার বিষয়টি সত্য হলে ওই সুপারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ইউএনও।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ