বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী

প্রকাশিত: ৯:৩৩ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৮, ২০১৭

বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী

ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ
আজ ২৮ অক্টোবর। বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী হামিদুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাৎ বার্ষিকী। ’৭১ এর এদিনে মৌলভীবাজার জেলার ধলাই সীমান্তে পাকিস্তানী বাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধে তিনি শহীদ হন। কিন্তু এখনও মহেশপুর উপজেলার সেই প্রত্যন্ত গ্রামটি খর্দ খালিশপুর নামেই আছে। যদিও দীর্ঘদীন এ এরাকার মানুষের প্রানের দাবী গ্রামটির নামকরণ করা হোক ”হামিদ নগর” নামে।

বীরশ্রেষ্টের ভাই হামজুর রহমান জানান, ১৯৭১ সালের ২৮ অক্টোবর মৌলভীবাজার জেলার সীমান্তে ধলাই পাক সেনা ঘাটি আক্রমণ করে মুক্তি বাহিনী। এ সময় পাক সেনাদের গুলিতে তিনি শহীদ হন।

হামিদুর রহমান ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বজলুর রহমান জানান, ঝিনাইদহ থেকে ৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মহেশপুর উপজেলা। সে উপজেলার প্রত্যন্ত একটি গ্রামের নাম খর্দ খালিশপুর। এ গ্রামেই বাংলাদেশের সূর্য সন্তান হামিদুরের শৈশব-কৈশর, বেড়ে ওঠা। দারিদ্রতার কারনে তিনি পড়াশুনা করতে পারেননি। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে হলে মুক্তি বাহিনীতে যোগ দিয়ে ভারতে প্রশিক্ষণ নেন। তারপর তিনি বাংলাদেশ সেনা বাহিনীতে অর্ন্তভুক্ত হন। তাঁকে জেড ফোর্সের অধিনস্ত করা হয়।

ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ জানান, বীরশ্রেষ্ঠের নামে ঝিনাইদহে আছে একটি কলেজ, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি রাস্তা এবং জেরা শহওে একটি ষ্টেডিয়াম। কিন্তু আমরা চাই তাঁর নিজ গ্রামের নামটি অতি সত্বর তাঁর নাম অর্থাৎ হামিদ নগর নামে নামকরণ করা হোক।

এলাকাবাসী জানান, গ্রামের নামকরণের দাবীটি বহু পুরোনো। দিনের পর দিন পার হয়ে যাচ্ছে কিন্তু এ সমস্যার কেই কোন সুরাহা করতে পারছে না। আমরা দ্রুত এ নামকরণের বাস্তবায়ন চাই।

বীরশ্রেষ্টের ভাই ফজলুর রহমান জানান, সরকারের সদিচ্ছা থাকলে সব সম্ভব। সরকার শুধুমাত্র একটা আইন কোরলেই সব সমস্যার সশাধান হয়ে যায়। তবে সরকারকে ধন্যবাদ আমাদেও ভাতা বড়ানোর জন্য।

 

আহমেদ নাসিম আনসারী

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ