বাঙালি খাদ্যাভ্যাসের অন্যতম এক অনুষঙ্গ কাঁচা মরিচ। মাংস কিংবা মাছ অথা সাধারণ সবজির তরকারিতে অথবা ভাজিতে কাঁচা মরিচের ঝাল ছাড়া চলে না এক দিনও। ৫ বা ১০ টাকায় নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্তরা প্রতিদিন বাজারে গেলে নিয়ে আসেন কাঁচা মরিচ।

আর সেই কাঁচা মরিচের সংকট চলছে কাঁচেরকোলের প্রতিটি বাজারে। সপ্তাহের ব্যবধানে তাই কেজি প্রতি দাম ২০০ টাকা ছাড়িয়েছে। সোমবার কাঁচেরকোলের কচুয়া, মির্জাপুর, জাঙ্গালিয়া ও বোয়ালিয়ার বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

অতিমাত্রায় মূল্যবৃদ্ধি ও কাঁচা মরিচের সংকট সম্পর্কে বিক্রেতারা বলছেন, বন্যায় নষ্ট হয়ে গেছে দেশি কাঁচা মরিচের চাষ হওয়া জমি। গত এক সপ্তাহ ধরে সেই সঙ্গে অজানা কারণে কমে গেছে মরিচের আমদানি। সব মিয়ে মরিচের বাজার এখন চরম অস্থির।

বিক্রেতারা এখনো কোনো সুখবর শোনাতে পাড়ছে না ক্রেতাদের। উল্টো দাম আরও বাড়বে বলে ক্রেতাদের জানাচ্ছেন। অন্যদিকে সরজমিনে দেখা যায় গ্রামের বাজারগুলোতে এখন আর বিক্রেতারা ৫-১০ টাকার কাঁচামরিচ বিক্রি করছে না। ২০-৩০ টাকা ছাড়া কাঁচা মরিচ বিক্রি করতে চাচ্ছেন না বিক্রেতারা। এক ক্রেতা ১০ টাকার মরিচ চাইতেই বিক্রেতা বলেই ফেললেন পাগল নাকি? ১০ টাকার মরিচ বিক্রি নেই।

কচুয়া কাঁচাবাজারের সবজি বিক্রেতা দেলোয়ার হোসেন জানান, ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায় পাইকারি দরে কিনে এনেছি। আবার এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে যাতায়াত খরচ। ফলে ২০০ টাকার উপরে ছাড়া বিক্রি করলে আমাদের লোকসান হবে।

তিনি বলেন, আগামীকাল হয়তো আর বেশি টাকা দিয়েও মরিচ পাওয়া যাবে না। মরিচের সরবারহ আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক কম।

এদিকে এক সপ্তাহ ব্যবধানে মরিচ কেজি প্রতি ১০০ টাকায় বেড়ে যাওয়া বিপাকে ক্রেতারা। সেই সঙ্গে রয়েছে মরিচের সংকটেরও সমস্যা।

কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা আমিনুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক দিন আগেও কাঁচা মরিচের দাম কেজি প্রতি ১০০ টাকা ছিলো এখন দেখি বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা। মূল্য বাড়ার সঠিক কোনো তথ্যও নেই বিক্রেতাদের কাছে। এখন এমন একটি সময় চলছে যে যার মতো যা কিছু বলে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। আসলে দাম বাড়ানোর বিষয়টি কতটুকু যৌক্তিক তা কেউ জানে না।

অন্যদিকে একদল সবজি ব্যবসায়ী অভিযোগ করে বলেন, কাঁচা মরিচের আসলে এতো সংকট নেই, যা বলা হচ্ছে। বন্যা হওয়ার পর থেকেই একদল কুচক্রী মহলের ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সবজি ও কাঁচা মরিচর দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে।