না ফেরার দেশে চলে গেলেন জজ জালাল উদ্দীণ

প্রকাশিত: ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৭, ২০১৭

না ফেরার দেশে চলে গেলেন জজ জালাল উদ্দীণ
শৈলকুপা প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার সারুটিয়া গ্রামের মৃত আজাহার উদ্দীণের একমাত্র ছেলে ও গ্রামের কৃতি সন্তান অবসরপ্রাপ্ত  জজ জালাল উদ্দীণ মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) জজ জালাল উদ্দীনের পরিবারেরর পক্ষ থেকে বিষয়টি জানা যায়।
জালাল উদ্দীণকে পরে লাশবাহী গাড়ি করে ঢাকা থেকে তার নিজ জম্মস্হান সারুটিয়া গ্রামে আনা হয়।
তাকে এক নজর দেখতে ছুটে আসেন শৈলকুপা-৩ আসনের বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক প্রাণীসম্পদের প্রতিমন্ত্রী আব্দুল হাই এমপি।
এছাড়াও ৬নং ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন, সাবেক চেয়ারম্যান আলাল বিশ্বাস, এবং এলাকার গণমান্য সকল সুধীজন ও স্হানীয় রাজনৈতিকবৃন্দ।
এমপি তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন,জালাল ভাইয়ের চলে যাওয়ায় আইন বিভাগে বিরাট একটা শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে।আমরা এক স্বর্ণ সন্তানকে হারালাম।এ শুন্যতা পূরণ হবার নয়।তার শোকসন্তষ্ঠ পরিবারকে সমবেদনা জানায়।সবাইকে একদিন এ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যেতে হবে।তাই শোককে শক্তিতে রুপান্তরিত করে সামনের জীবনকে পরিচালনা করতে হবে।
তার জানাযা নামাযে হাজার হাজার লোক উপস্থিত হয়।
তিনি ১৯৭২ সালে কাতলাগাড়ী হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাস।পরে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন ঝিনাইদহ কেসি কলেজ থেকে।রাজশাহী ইউনিভার্সিটি থেকে আইন বিভাগে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।
১৯৮৪ সালে তিনি সহকারী জজ হিসাবে কুষ্টিয়ায় দায়রা জজ কোর্টে তার প্রথম কর্মজীবন শুরু করেন।
এরপর থেকে জজ জালাল উদ্দীনকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি।
সর্বশেষ তিনি ঢাকা লেবার কোর্টে জজ হিসাবে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে অবসর নেন।
জজ জালাল উদ্দীনের সন্তান ব্যারিস্টার সায়েদ হক জনি ইসলাম তার বাবার সম্পর্কে বলেন, জজ হিসাবে বাবা অসাধারণ এক ব্যক্তি হিসেবে অনন্য ও সৎ,ন্যায়নিষ্ঠা, পরোপকারী হিসাবে সবাই জানতেন।এজন্য এই অসাধারণ ব্যক্তিত্বের কারণে বাবাকে সবাই অনেক অনুভব করবে।তার প্রায় ৩২ বছরের কর্মজীবনে তিনি কখনো অন্যায়ের কাছে আপোস করেনি।
ব্যক্তি জীবনেও ন্যায়নিষ্ঠা ও কর্মক্ষেত্রের জন্য বেশ আলোচিত ছিলেন জজ জালাল উদ্দীণ।
শুক্রবার(৬ সেপ্টেম্বর)  বাদ জুম্মার পর তার শেষ ইচ্ছায় বাড়ীর সামনে দাফন করা হয়।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ