ঢাকা ২২শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৪ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ১:২৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৪, ২০১৯
ঝিনাইদহ সংবাদ ডেস্ক:
আলেয়া বেগম। বয়স ষাটের কোঠায়। বাড়ি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গাড়ামারা গ্রামে। কেটে গেছে একে একে ৫ টি বছর তবুও কান্না থামছে তার। চোখের পানি ঝরতে ঝরতে এখন আর ঠিক মতো চোখেও দেখতে পারেন না তিনি। তবুও পথ পানে চেয়ে থাকেন ছেলে মাসুদের ফেরার অপেক্ষায়। দুই ছেলে নিয়ে ছিল তার সংসার। সংসারের অভাব অনটন কুরে কুরে খায় তাদের। একটু সুখের আশায় ছোট ছেলে মাসুদ দালালের খপ্পরে পড়ে অবৈধভাবে পানিপথে মালেশিয়া যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। আর কথা হয়নি ছেলের সাথে। একে একে ৫টি বছর পার হয়ে গেছে। দেখা হওয়া তো দুরের কথা। আর কোনদিন কথা হবে কিনা তাও জানে না আলেয়া বেগম। তার পরও ছেলেকে খুঁজে ফিরছে দিন-রাত। শুধু আলোয় বেগমের ছেলে মাসুদ নয়। তার মতো করে নিখোঁজ রয়েছে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ১৯ জন মানুষ। তাদের কারোরই কোন সন্ধান নেই।
নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন- সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের আব্দুল হামিদ, মৃত তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে লাবলু রহমান জিতু, আবুল কাশেমের ছেলে আরাফাত গাড়ামার গ্রামের গোলাম রসুলের ছেলে রিপন, গোলাম মোস্তফা দুলালের ছেলে ফরিদ হোসেন, ইদ্রিস আলীর ছেলে আবু বকর, শহর আলীর ছেলে নাজমুল হক, নাছির উদ্দিনের ছেলে লাল চাঁদ, বসির উদ্দিনের ছেলে মাসুদ রানা মচু, শাহী উদ্দিনের ছেলে আলমগীর, লুৎফর রহমানের ছেলে ওলিয়ার রহমান, মহামায়া গ্রামের জালাল উদ্দিন, মিয়াকুন্ডু গ্রামের সাহের আলী মন্ডলের ছেলে ইউনুছ, জলিল জোয়ার্দ্দারের ছেলে বাচ্চু, ময়েন উদ্দিন জোয়ার্দ্দারের ছেলে বিপুল জোয়ার্দ্দার, আতিয়ার রহমান বিশ্বাসের ছেলে ওলিয়ার রহমান, পিরোজপুর গ্রামের বিশারত মন্ডলের ছেলে তারিখ মন্ডল, উলফাত মন্ডল, ও দিপু বিশ্বাসের ছেলে শহিদুল ইসলাম। প্রতিটি পরিবারে এখন নেমে এসেছে চর দুর্ভোগ। স্বচ্ছলতার পরিবর্তে ক্ষুধা আর দারিদ্রতা নিত্যদিনের সঙ্গী তাদের। এখন সবাই অপেক্ষায় আছে তাদের ফিরে আসার।
রামচন্দপুর গ্রামের নিখোঁজ হামিদের স্ত্রী লিপি বলেন, আমার কোলের মেয়ে জামিলার বয়স তখন ১ বছর। আমার স্বামী বিকালে হলিধানি বাজারে যাওয়ার নাম করে বের হয়, আর ফিরে আসে না। তার প্রায় ১৪/১৫ দিন পর একটি অচেনা নাম্বর থেকে মোবাইলের মাধ্যমে জানায় যে আমি মালায়েশিয়া চলে যাচ্ছি। জাহাজে উঠেছি পরে কথা হবে মালায়েশিয়া গেলে টাকা দিতে হবে। এই বলে মোবাইল কেটে দেয়। তারপর আর কিছুই জানতে পারিনি যে সে বেঁচে আছে না মরে গেছে। তবে এ ব্যাপারে জেলা পুলিশ বা জেলা প্রশাসনের কাছে কোন তথ্য নেই। এ ব্যাপারে, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের জনশক্তি জরিপ কর্মকর্তা খান মো: শাহাদত হোসেন বলেন, যার অবৈধ ভাবে বিদেশে গিয়েছেন তাদের ব্যাপারে আমাদের অফিসে কোন তথ্য নেই। তারা মন্ত্রনালয়ে যোগাযোগ করতে পারেন।
সম্পাদক – মাহমুদ হাসান টিপু
নির্বাহী সম্পাদক – পিন্টু লাল দত্ত
বার্তা সম্পাদক – সোহাগ আলী
www.jhenaidahsongbad.com
jhenaidahsongbad@gmail.com
প্রকাশক- জাহিদুল ইসলাম বাবু মিয়া
ব্যবস্থাপনা পরিচালক – মোঃ মজিবুর রহমান সরকার
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সড়ক,ঝিনাইদহ
০১৭১১২৬০৩৯৩ / ০১৭১১৪৫২০৫১
Design and developed by zahidit.com