দাউদ হোসেন, মহেশপুর:
ঝিনাইদহের মহেশপুরে প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ২৩৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরমধ্যে শহীদ মিনার আছে মাত্র ৩৬টিতে। ১৯৫২-২০১৯ ভাষা শহীদদের ৬৭ বছর পেরিয়ে গেছে। ইতিহাসের সাক্ষী শহীদ মিনার।
সরেজমিনে খোজ-খবর নিয়ে দেখা গেছে, মহেশপুর উপজেলায় ১৫২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে, এরমধ্যে ৮টি তে শহীদ মিনার আছে, ৪৭টি মাধ্যমিক ও নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে, এরমধ্যে ২৩টি তে শহীদ মিনার আছে, মাদ্রাসা আছে ২৫টি এরমধ্যে একটিও শহীদ মিনার নেই।
সরকারী-বেসকরারী মিলে কলেজ রয়েছে ১০টি। এরমধ্যে ৫টিতে শহীদ মিনার আছে। যে কটি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে এরমধ্যে একটি বাদে বাকী সবগুলোই দেশ স্বাধীনের পর নির্মান করা হয়েছে। পাকিস্থান আমলে তৈরী করা হয় মহেশপুরে একমাত্র শহীদ মিনারটি। ১৯৬৯ সালে তৎকালীন মহেশপুরের থানা ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুর রহমানের পৃষ্ঠপোকতায় মহেশপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ওয়ালিউল ইসলাম উদ্যোগী হয়ে বিদ্যালয় চত্বরে প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণ করেন।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাকিস্থান বাহিনী শহীদ মিনারটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। দীর্ঘ ১৩ বছর মহেশপুরে কোথাও কোন প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার ছিল না। ১৯৮৪ সালে উপজেলা পরিষদ গঠন হলে তৎকালীণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিচ উদ্দিন মিয়ার উদ্যোগে মহেশপুর হাই স্কুল মাঠের পশ্চিম প্রান্থে ৩ খামবার একটি শহীদ মিনার খাড়া করা হয়।
পরবর্তীতে ২০০৭ সালে কেয়ারটেকার সরকারের আমলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরুজ্জামান ও তৎকালীণ পৌরসভার চেয়ারম্যান এ্যাড. শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চলের সহায়তায় শহীদ মিনারটি সংস্কার করে শোভাবর্ধন করা হয়। যা বর্তমান মহেশপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
মহেশপুর মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমজাদ হোসেন ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মাহবুবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানায়, সমস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শহীদ মিনারের ডাটাবেজ তৈরী করা হয়েছে। যেসকল প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই সে সকল প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে তৈরী করার জন্য এছাড়া সরকারের উপর মহলে জানানো হয়েছে।