ঢাকা ২২শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৪ই জিলকদ, ১৪৪৫ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:২৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২, ২০১৮
ঝিনাইদহ সংবাদ ডেস্ক ঃ ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহের ৪টি সংসদীয় আসনে বিএনপি ও আ’লীগের হেভিওয়েট প্রার্থীসহ ১৫ জনের মনোনয়ন পত্র বাতিল ঘোষনা করেছেন জেলা রিটার্নিং অফিসার সরোজ কুমার নাথ।
রোববার মনোনয়নপত্র বছাইয়ের দিন এ সব প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বাতিল ঘোষিত হয়। এদের মধ্যে কিছু কিছু প্রার্থীর আপীল করার সুযোগ আছে বলেও জানানো হয়। জেলার ৪টি আসনে ৩৯ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
বাতিল ঘোষতি প্রার্থীদের মধ্যে ঝিনাইদহ-১ আসনে হেভিওয়েট প্রার্থী শৈলকুপা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি আব্দুল ওহাব (বিএনপি), স্বতন্ত্র আবু বকর। ঝিনাইদহ-২ আসনে আরো এক হেভিওয়েট প্রার্থী বিএনপির জেলা সভাপতি সাবেক এমপি মসিউর রহমান, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক আ্যাড এম এ মজিদ, আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু , জাকের পার্টির জেলা সভাপতি আবু তালেব সেলিম, ইউসুফ পারভেজ (স্বতন্ত্র) এবং বিএনপির কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর রবিউল ইসলাম লাভলু । ঝিনাইদহ-৩- আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার কামরুজ্জামান স্বাধীন ও নাজমুল হুদার (এনবিএএফ) এর দলীয় মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইসমাইল হোসেন। ঝিনাইদহ-৪ আসনে বাম জোটের ফনি ভূষণ রায় (সিপিবি), বিএনএফ এর ওয়াদুদুর রহমান, এনপিপি’র মোঃ কামরু ল হাসান, স্বতন্ত্র জহরুল ইসলাম ছাড়াও আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে মনোনায়ন জমা প্রদানকারী কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি আব্দুল মান্নান এর মনোনায়ন পত্র বাতিল করা হয়।
রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলার রিটানিং অফিসারের কার্যালয়ের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। এতে আদালত থেকে দন্ডপ্রাপ্ত, ঋণ খেলাপি, পৌরকর বাকি, সঠিক কাগজ জমা না দেওয়াসহ নানা কারণে ১৫ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। এদের মধ্যে আদালত থেকে সাজা হওয়ায় বিএনপির মসিউর রহমান ও আব্দুল ওহাবের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।
এছাড়া পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়ায় বিএনপির এড আব্দুল মজিদ ও আওয়ামীলীগের সাইদুল করিম মিন্টুর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয় বলে জেলা রিটার্নিং অফিসারের দপ্তর থেকে জানানো হয়। তবে এদের আপীল করার সুযোগ আছে। এই অবস্থায় ঝিনাইদহের ৪টি আসনে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাড়ালো ২৪ জন।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ-২ আসনের আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে মনোনায়ন জমা প্রদানকারী আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু জানান, কেন্দ্রীয় নির্দেশে আমি আমি আমার মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছি।
অপর দিকে বিএনপির প্রধান প্রার্থী আ্যাড. এম.এ মজিদ বলেন তিনি সকল নিয়ম মেনেই মনোনায়ন দাখিল করেছিলেন। শুধুমাত্র হয়রানি করার জন্য তার মনোনায়পত্র বাতিল করা হয়েছে। তিনি জানান হরিণাকুণ্ডু উপজেলা চেয়ারম্যানের পদ থেকে তিনি পদত্যাগ করে স্থানিয় সরকার মন্ত্রনালয়ে জমা দিয়ে রিসিভ কপি নিয়েছেন এবং সেটি মনোনায়নের সাথে জমা করেছেন। এর পরও তার মনোনায়নপত্র কি ভাবে বাতিল হয়। তিনি এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে আপিল করবেন এবং তার মনোনায়নপত্র বৈধ্য হবে বলে তিনি মনে করেন।
অন্যদিকে কালীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান বলেন তার দল এখনো চুড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেনি তাই তিনি দলের প্রার্থী হিসাবে মনোনায়ন জমা দিয়েছিলেন । তিনিও আপিল করবেন এবং দলিয় মনোনায়ন লাভ করবেন বলে জানা। এছাড়া বিএনপির জেলা সভাপতি সাবেক এমপি মসিউর রহমান ও ঝিনাইদহ-১ আসনে শৈলকুপা উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাবেক এমপি আব্দুল ওহাব এর মনোনায়নপত্র আদালতের সাজার কারনে বাতিল হয়।
সম্পাদক – মাহমুদ হাসান টিপু
নির্বাহী সম্পাদক – পিন্টু লাল দত্ত
বার্তা সম্পাদক – সোহাগ আলী
www.jhenaidahsongbad.com
jhenaidahsongbad@gmail.com
প্রকাশক- জাহিদুল ইসলাম বাবু মিয়া
ব্যবস্থাপনা পরিচালক – মোঃ মজিবুর রহমান সরকার
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সড়ক,ঝিনাইদহ
০১৭১১২৬০৩৯৩ / ০১৭১১৪৫২০৫১
Design and developed by zahidit.com