আব্দুল্লাহ আল মাসুদ
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
মহোৎসবে মেতেছে ঝিনাইদহে বিদ্যুতের লোডশেডিং। এতে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে এ নিয়ে লেখালেখি। দিনে ৫ থেকে ৭ বার লোডশেডিং হচ্ছে, রেহাই নেই রাতেও। এমনকি বিদ্যুৎবিহীন সারারাতও কাটাতে হয় ঝিনাইদহবাসীদের।
নাজমুল হোসেন নামের এক ব্যক্তি বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগ যেন আমাদের সাথে তামাশা শুরু করেছে। প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় লোডশেডিং। এই গরমের সময় রাতে দিনে যদি এভাবে লোডশেডিং হয় তাহলে মানুষ বাঁচবে কিভাবে। লোডশেডিং চলাকালিন বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করলে আমাদের কোন পাত্তাই দেয় না তারা।
পলাশ নামের অপর এক ব্যক্তি বলেন, দিনে রাতে সমান ভাবে চলছে লোডশেডিং। আজ বুধবার (২৩আগস্ট) সকাল ৬টা থেকে সন্ধা ৬টা পর্য়ন্ত ১২ ঘন্টার মধ্যে প্রায় ৫-৬ ঘন্টা লোডশেডিং হয়েছে। আবার গভীর রাতে বিদ্যুৎতের উন্নয়নের কি কাজ হয় এটা বুঝিনা। সোমবার ২২আগস্ট সারারাত বিদ্যুৎ ছিল না। অফিসে ফোন দিলে এক কর্মকর্তা চড়া গলায় বলে উন্নয়নের কাজ চলছে দেরি হবে বলে ফোন কেটে দেয় তারা। মোটকথা একেবারে অসহ্যকর অবস্থা, লোডশেডিং দিতে হয় একটি নির্দিষ্ট সময় দিক। তবে আধ ঘণ্টা পর পর লোডশেডিং এটা মেনে নেওয়া যায় না।
তিনি আরো বলেন, টেলিভিশনে প্রায়ই বলছে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়িয়েছে। আবার উচ্চমূল্য দিয়ে বাইরে থেকে বিদ্যুৎ আনছে। বিদ্যুতের দামও বাড়িয়েছে। বর্তমানে আমরা বর্ধিত বিদ্যুতের মূল্য দিচ্ছি তাহলে কেন এই ঘন ঘন লোডশেডিং মেনে নেব আমরা।
এব্যাপারে ঝিনাইদহ বিদ্যুৎ অফিসের এক কর্মকর্তার সাছে মুটোফোনে কথা হয়। সে সময় তিনি জানান, ঝিনাইদহে বিদ্যুৎ গ্রাহক অনেক বেড়ে গেছে, এতে বিদ্যুৎতের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এছাড়া তারগুলো দূর্বল হয়ে পড়েছে, মাঝে মাঝে আগুনও লেগে যাচ্ছে বলে জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ র্কমর্কতা।