ঢাকা ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:০৯ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১১, ২০১৮
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার তালসার গ্রামের মেধাবী ছাত্র হাবিবুর রহমান টুলু আত্মহত্যা করেনি। তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) আদালতের নির্দেশে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনের পর প্রমানিত হলো ডাক্তারের ময়না তদন্ত রিপোর্ট ও থানায় দায়ের করা আত্মহত্যা মামলাটি সঠিক ছিল না। আসামীদ্বারা প্রভাবিত হয়ে সংশ্লিষ্টরা হাবিবুর রহমান টুলু হত্যা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করে। পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে ২০১৭ সালের ১০ জুন তালসার গ্রামের সাব্দার আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান টুলুকে আসামী জাকির হোসেন, আসাদুল, নজরুল ইসলাম, আলামিন, মিল্টন, জমির, আমিরুদ্দীন ও জমির পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে। হাবিবুর রহমান টুলু হত্যা মামলার আইনজীবী গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, আসামীরা প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনার পর থেকে নানা ভাবে বাদীকে হয়রানী করে আসছে। মোটা অংকের টাকার প্রস্তাব দিয়ে মামলাটি মিমাংশা করতে না পেরে প্রধান আসামী জাকির হোসেন বাদী সাব্দার আলীর নামে ৫/৬টি মিথ্যা মামলা করেছেন। এখনো বাদীকে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে আসামীরা। এদিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই) টুলু হত্যার সাথে আসামীদের সম্পৃক্ত থাকার প্রমান পাওয়া খুনিরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা একের পর এক কাউন্টার মামলা সাজিয়ে হতদরিদ্র নিহত টুলুর পরিবারকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য যে, হাবিবুর রহমান টুলু (১৪) কোটচাঁদপুরের তালসার কাজী লুৎফর রহমান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর মেধাবী ছাত্র। একই স্কুলের ছাত্রী ও নজরুল মন্ডলের মেয়ে শাহানাজ ঘটনার তিন দিন আগে অন্য একটি ছেলের সাথে পালিয়ে যায়। এ নিয়ে তারা স্কুল ছাত্র টুলুকে সন্দেহ করতে থাকে। গত ১০ জুন রাতে প্রধান আসামী জাকির মন্ডল ফোন করে টুলুকে তার সাথে দেখা করতে বলে। টুলু সরল মনে তার সাথে দেখা করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। ঘটনার দিন প্রতিবেশি আয়াত আলীর ছেলে সুমন, আজাদের ছেলে মহসিন, জমিরের ছেলে তুহিন ও জিয়াউর রহমানের ছেলে ইমরান তাল চুরি করে ঝোড়ের মধ্যে খাচ্ছিল। তারা দেখে ৩ জন মানুষ একটি মৃতপ্রায় লোককে ঘাড়ে করে নিয়ে যাচ্ছে। এই দৃশ্য দেখে তারা ভয়ে আতংকিত হয়ে দৌড়ে বাড়ি চলে আসে এবং টুলুর লাশ পাওয়ার পর ঘটনাটি ফাঁস হয়ে যায়। এদিকে মৃতদেহ খুঁজে পাওয়ার আগেই আসামীরা বাড়ির মালামাল নিয়ে গাঢাকা দেয়। যা পরোক্ষ ভাবে প্রমান করে আসামীরাই টুলুর হত্যাকারী ছিল। বাদী টুলুর পিতা সাবদার মন্ডল জানান, টুলু বাইরে যাওয়ার সময় তার কাছে নিজের শিক্ষা বৃত্তির ১৩’শ ও জমি বিক্রির এক লাখের বেশি টাকা ছিল। সে টাকাও খুনিরা নিয়ে যায়।
Design and developed by zahidit.com