পল্লী বিদ্যুতের এক মাসের বিল দুইবার দিলেও সংযোগ বিচ্ছিন্ন

প্রকাশিত: ১০:৫৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৭

পল্লী বিদ্যুতের এক মাসের বিল দুইবার দিলেও সংযোগ বিচ্ছিন্ন

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিল বকেয়া রয়েছে এমন অভিযোগে গত ১৫ দিন আগে আব্দুল গনি নামে এক গ্রাহকের বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়।

ভুক্তভোগী গ্রাহক জানিয়েছেনআগষ্ট, ২০১৬ মাসের বিল বকেয়া দেখিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে সেই মাসে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি তার কাছ থেকে ২ বার বিল দিয়ে টাকা নিয়েছে।

কোটচাদপুর উপজেলার আসাননগর গ্রামের মো: ভিকু মন্ডলের ছেলে আব্দুল গনি অভিযোগ করেন, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মহেশপুর জোনাল অফিসের আওতায় তার বাড়ি বিদ্যুৎ সংযোগ আছে। তার হিসাব নং ৩২২-২১২০। ট্যারিফ-বি, মিটার নং-৩২১৫৭৯। গত ২০১৬ সালের আগষ্ট মাসে তার বাড়িতে ২০০ ইউনিট  বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য ১০৫৯ টাকার বিল পাঠানো হয়। তিনি তা  রুপালী ব্যাংক কোটচাঁদপুর শাখায় জমা দেন।

বিদ্যুৎ বিল জমা দেবার পরেও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তারা তাকে জানান, বিল ব্যাংকে জমা হয়নি। আপনার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। এর পরও তারা একই মাসের ১০৫৯ টাকার আরেকটি বিল তার হাতে ধরিয়ে দেন। সেটিও তিনি সর্বশেষ ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে জমা দেন। এর পরও বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে টাকা জমা হয়নি এমন অজুহাত দেখিয়ে তার সংযোগটি বাড়ি থেকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

আব্দুল গনি আরো অভিযোগ করেন, মহেশপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিসে গেলে একজন কর্মকর্তা তার কাছে সংযোগ দেবার জন্য উৎকোচ দাবি করেন।

মহেশপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিলিং সুপারভাইজার জানান, কম্পিউটারের সফটওয়ারের কারনে মূলত এই সমস্যা হয়েছে। এছাড়াও ওই গ্রাহকের আগষ্ট ১৭ থেকে অক্টোবর ১৭ পর্যন্ত ৩ মাসের বিলের টাকা বকেয়া ছিল। ফলে তার বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, গনি সাহেব সকল বিল পরিশোধ করেছেন, তার বিদ্যুৎ সংযোগ দেবার জন্য কোটচাঁদপুর অফিসে জানানো হয়েছে।

মহেশপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম সফিক জানান, বিষয়টি তিনি জানেন না। বিলিং সুপারভাইজারের সাথে কথা বলতে বলেন তিনি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ