কোটচাঁদপুরে ১ম শ্রেণীর ছাত্রীকে মারধর করায় প্রতিবাদ

প্রকাশিত: ১২:৫০ অপরাহ্ণ, আগস্ট ১৯, ২০১৭

কোটচাঁদপুরে ১ম শ্রেণীর ছাত্রীকে মারধর করায় প্রতিবাদ
কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ), ১৯ আগস্ট : বিদ্যালয়ের সভাপতি প্রথম শ্রেনীর এক ছাত্রীকে মারধর করার প্রতিবাদে ফুসে উঠেছেন গ্রামবাসী। আজ শনিবার কোটচাঁদপুরের সিঙ্গিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনাটি ঘটেছে। তাঁর বহিস্কারের দাবীতে গণস্বাক্ষর দিচ্ছেন এলাকাবাসী।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কাজল রেখা জানান, সকালে স্কুলে এসে সভাপতির নাতি ছেলে ও আবুল কাশেমের মেয়ে হাতা-হাতি করতে করতে সভাপতি নাতি ছেলে রিসান মাটিতে পড়ে যায়। এতে তাঁর মাথায় আঘাতে ফেটে গিয়ে রক্ত বের হয়।
এ ঘটনায় সভাপতি ক্ষিপ্ত হয়ে মরিয়মকে মারধর করেছেন বলে আমি জানতে পেরেছি। বিষয়টি আমি উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। কর্মকর্তারা আমাকে ঘটনাটি লিখিত আকারে জানাতে বলেছে। তারা যাচাই-বাচাই করে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।
মরিয়মের মা ফুলি খাতুন বলেন, সভাপতির নাতি ছেলে বেশ দুষ্টু। সে প্রায়ই সবার মারধর করেন। তিনি তাঁর নাতি ছেলেকে শাসন না করে প্রায়ই মানুষের বাচ্চাদের ধরে মারপিট করেন।
এ ব্যাপারে প্রথম শ্রেনীতে পড়–য়া ছাত্রী মরিয়ম (৭)  বলেন  আমি পাশে দাড়িয়ে ছিলাম, রিসান একাই পড়ে গিয়ে মাথা কেটে যায়। সভাপতি আমাকে এসে মেরেছে, গলা টিপে ধরেছে। কথা প্রতিবেশী  ও অভিভাবক মন্টু, শাহিনের সঙ্গে তারা বলেন, রিসান প্রায়ই মানুষের বাচ্চাদের ধরে মারে। সভাপতি তাঁর নাতি ছেলে কে কিছু না বলে আমাদের বাচ্চাদের মেরে আহত করেন।
কয়েকদিন আগে সে সেতু ও মাহিন নামে দুই ছাত্র মারধর করেন। তারা আরো বলেন সভাপতি এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি তাঁর ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারে না। তাঁর কাছে গ্রামবাসী জিম্মি হয়ে আছে।
এদিকে এ ঘটনার পর বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা ক্ষিপ্ত হয়ে ১ ঘন্টা স্কুল বন্ধ করে দেন। পরে নির্বাহী অফিসারের যাবার কথা শুনে মাইকিং করে ছাত্র/ছাত্রীদের স্কুলে হাজির করা হয়। এরপর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ক্ষিপ্ত অভিভাবকদের কথা শোনার জন্য বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে বসেন। অভিভাবকরা তাদের অভিযোগ তুলে ধরেন। সাথে সাথে সভাপতি বহিস্কারের দাবী তোলেন। তাকে বহিস্কার না করলে ছেলে-মেয়েদের স্কুলে না পাঠানোরও আল্ট্রিমেটাম দেন।
বিদ্যালয়ের সভাপতি সাজ্জাত হোসেনের মোবাইলে কল করে পাওয়া যায়নি। এদিকে সভাপতির বহিস্কারের দাবী এলাকাবাসী গণস্বাক্ষর দিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাম্মী ইসলাম বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম। সবকিছু অবহিত হয়েছি। তাদেরকে লিখিত আকারে অভিযোগ করতে বলেছি।