রফিক মন্ডল কোটচাঁদপুর থেকে ঃ
জহুরা খাতুন (৬৫)। ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার পৌর শহরের সলেমানপুর সরদার পাড়ায় পৈতিক ভিটা। প্রতিবন্ধী জহুরা বাবা মায়ের একমাএ কন্যা সন্তান। একে তো প্রতিবন্ধী। তারপরেও মায়ের অকাল মৃত্যু। দুর্ভোগ যার নিত্যদিনের সঙ্গী। মায়ের মৃত্যুর পর পরই পিতা ইফা মন্ডল অন্যএ বিয়ে করেন। সেখানে তাঁর সৎভাই রয়েছেন। পৈতিক সম্পতি থেকে অসহায় হত দরিদ্র জহুরার বন্চিচ করা হয়েছে। পেশায় জহুরা ভিক্ষা বৃত্তি ও মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ঘুরে রাতযাপন করেন। ভিটেবাড়ী সহায় সম্পতি কিছুই নেই জহুরার। নাম মাএ সংসার শুরু করে ও হতাভাগা জহুরার ভাগ্যের চাকা বেশি দিন স্হায়ী হয়নি। পাবনা থেকে অাগত এক তরুন যুবক জহুরার বিয়ে করে। কিছুদিন নামমাত্র সংসার চলে। গর্ভের জহুরার সেই পাবনার স্বামীর এক সন্তান অাসে তাঁর ওরসে। কিন্তু বিধিবাম কপালে জুটলো না সুখের সংসার হতভাগা জহুরার। স্বামী নামক অসভ্য লম্পট জহুরাকে রেখে অার কোন দিন কোটচাঁদপুরে ফিরলেন না। পাবনার ঠিকানায় ও তার হদিস মেলেনি। ওরসজাত মেয়েসন্তানের জন্মদেন জহুরা। নাম তার রেবা। ভিক্ষা বৃত্তি অার সমাজের মানুষের নিকট হতে অর্থ চেয়ে মেয়েকে পাএস্হ করেছেন। ভিক্ষা বৃত্তি বন্ধ হওয়াতে চরম বিপাকে পড়েছেন হতভাগা প্রতিবন্ধী জহুরার। অনেকের কপালে প্রতিবন্ধী বা বিধবা জুটলেও অসহায় বিধবা হতদরিদ্র ভিটা ও সম্বলহীন অাধপাগলা জহুরার কপালে এখনো প্রতিবন্ধী বা বিধবা ভাতা জোঁটেনি। জহুরা এলাকাবাসীর নিকট ঢুলি পাগলী নামে বেশি পরিচিতি। কোটচাঁদপুর উপজেলার চেয়ারম্যান ভারপ্রাপ্ত মোছাঃ নাজমা খাতুন বলেন জহুরা ওরফে ঢুলি পাগলীর বিধবা ভাতা কিংবা প্রতিবন্ধী ভাতা পাওয়া তাঁর ন্যায়্য প্রাপ্য বা সময়ের জোর দাবী। কথাপোকথনে প্রতিবন্ধী জহুরা ওরফে ঢুলি পাগলী বলেন অামার বয়স ৬০/৬৫ হয়েছে। তারপরেও অামি ভাতা পাইনি। মেম্বারদের কাছে গেলে তাড়িয়ে দেয়। সব মিলিয়ে প্রতিবন্ধী বা বিধবা ভাতা জহুরার কপালে অাছে কী নেই তা দেখার অপেক্ষায় সচেতন মহল???