ভিক্ষুকের টাকা ছিনতাই, ভাগাভাগি নিয়ে মারামারি!

প্রকাশিত: ১২:৫৮ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৬, ২০২৩

ভিক্ষুকের টাকা ছিনতাই, ভাগাভাগি নিয়ে মারামারি!
ঝিনাইদহ সংবাদ ডেস্ক:
ঝিনাইদহে বজলুল করিম নামে এক ভিক্ষুকের টাকা ছিনতাই নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। সদর উপজেলার নগরবাথান এলাকার কতিপয় দুস্কৃতিকারী ভিক্ষুক বজলুল করীমের আট বছর ধরে ভিক্ষার জমানো টাকা ছিনিয়ে নিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি, তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে ব্যাপক মারপিট করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের নগনবাথান হাইস্কুলের বারান্দায়। গ্রামবাসি সুত্রে জানা গেছে, র্দীঘ আট বছর ধরে নগরবাথান স্কুলের বারান্দায় বসবাস করতেন ভিক্ষুক বজলুল। তার বাড়ি ফরিদপুর জেলায়। গত ৩০ জুন রাতে স্কুলের বারান্দা থেকে তাকে টেনে হ্যাচড়ে মাঠের মধ্যে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। ভিক্ষুকের কাছ থেকে টাকা ছিনতাইয়ের পরদিন তাকে আবারো পাশের মেহগনী বাগানে নিয়ে হাত পা বেঁধে কুড়িয়ে পাওয়া স্বর্ণালংকারের দাবিতে অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়। এ ঘটনার পর থেকে ভিক্ষুক এলাকা ছেড়ে চলে যায়। ঘটনার চারদিন অতিবাহিত হলেও ছিনতাইকারীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। নগরবাথান বাজারের একাধিক দোকানদার জানান, ওই ভিক্ষুকের কাছে প্রায় দেড় লাখ টাকা ও সোনার অলংকার ছিল। ছিনতাইকারীরা সব নিয়ে গেছে। কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম জানান, এই ছিনতাই কাজের সঙ্গে কনেজপুর গ্রামের ইউনুস আলীর ছেলে হাসান চুন্নু ও তার সঙ্গীরা জড়িত। তিনি অভিযোগ করেন, ভিক্ষুকের ছিনতাইকৃত টাকার ভাগাভাগী নিয়ে তাদের মধ্যে মারারিও হয়েছে। এ ঘটনায় একজন আহত হয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। স্থানীয় কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চত করে জানান, শুনেছি হাসান চুন্নুসহ তার দলবল এই ছিনতাই কাজে জড়িত। তারা ভিক্ষুককে মারধর করে তার কাছে থাকা ৬০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। টাকার ভাগ নিয়ে মারামারিও হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের পুলিশের বিট অফিসার এসআই নেছার উদ্দীন জানান, কত টাকা ছিনতাই হয়েছে তা এখনো নিরুপন করা যায়নি। ওই ভিক্ষুককে পেলে বিস্তারিত জানা যেত। তিনি বলেন, পুলিশী তদন্তে হাসান চুন্নুর সঙ্গে আরো তিনজন ছিল বলে জানা গেছে। পুলিশ তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে এবং প্রতিদিন এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে।