মন্দিরে মন্দিরে আরাধনা, উলুধ্বনি আর ঢাকের বাদ্যে যন্ত্রের মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে শারদীয় দুর্গোৎসব।
ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে সূচনা ঘটেছে বাঙালির শারদোৎসবের। এ দিন দুর্গতিনাশিনী দেবীর অধিষ্ঠান, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা।
পাঁচ দিনের দুর্গোৎসবের প্রথম দিনে গতকাল ষষ্ঠীতে মন্ডপে মন্ডপে দেবীর অধিষ্ঠান হয়। সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটের মধ্যে ছিল ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ। এ সময় বেলতলা কিংবা বেলগাছের নিচে দেওয়া হয় ষষ্ঠীপূজা। সন্ধ্যায় দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস ছাড়াও সব মন্ডপে পুষ্পাঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও ভোগআরতির আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় আলোকসজ্জাসহ অনেক মন্ডপে বিশেষ প্রার্থনা ও সঙ্গীতানুষ্ঠান হয়।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন আজ বুধবার মহাসপ্তমী। সকালে ত্রিনয়নী দেবীদুর্গার চক্ষুদান করা হবে। এর পর সকাল ৯টা ৫৮ মিনিটের মধ্যে দেবীর নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন, সপ্তমাদি কল্পারম্ভ ও সপ্তমীবিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এভাবে উৎসব চলবে আগামী মঙ্গলবার বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত।
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় এ উৎসব ঘিরে দেশজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে আনন্দ ও উৎসাহ-উদ্দীপনার। ৯৬টি পূজামন্ডপে গতকাল দুর্গাপূজা শুরু হয়। হিন্দুদের পাশাপাশি অন্য ধর্মের মানুষও যোগ দেওয়ায় উৎসব সার্বজনীন রূপ নিয়েছে।
এদিকে পূজা ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল ৯৬ টি কালীগঞ্জ উপজেলায়। প্রতিটি মন্ডপে পুলিশ, আনসার-ভিডিপির। এদিকে কালীগঞ্জ নিশ্চিন্তপুর পূজা মন্ডবে লাইটিং সহ প্রতিমা জাকজমক পূর্ণ মনোমুগ্ধকর দৃষ্টি আকর্ষন করেছে।