ঢাকা ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:২৭ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৬, ২০২১
মহেশপুর প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত দিয়ে গত সাড়ে তিন মাসে ৩৪৫ জনকে আটক করেছে মহেশপুরের ৫৮ বিজিবি। মহেশপুর উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত থেকে এসব নারী, পুরুষ ও শিশুদের আটক করা হয়। মহেশপুর ৫৮ বিজিবির দেওয়া প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য উঠে এসেছে। এদিকে করোনাকালেও ভারতে প্রবেশের এই জনশ্রোত ঠেকানো যাচ্ছে না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে ধুড় পাচারের নিরাপদ রুট হচ্ছে মহেশপুরের বিভিন্ন সীমান্ত। দেশে লকডাউন ও যান চলাচলে কড়াকড়ি থাকায় ১১ এপ্রিলের পর থেকে বিজিবি কাউকে আটক করতে পারেনি। বিজিবির পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তি বিশ্লেষন করে দেখা গেছে মহেশপুর উপজেলার বাঘাডাঙ্গা, মাটিলা, সেজিয়া একাশিপাড়া, বাঁমবাড়িয়া, মকরধ্বজপুর, মাইলবাড়িয়া, দরবেশনগর, পদ্মপুকুর, খোশালপুর ও হাঠাৎপাড়া দিয়ে বিনা পাসপোর্টে ভারতে প্রবেশের সময় ৩৪৫ জনকে আটক করা হয়। এর মধ্যে জানুয়ারী মাসে ৪৭ জন, ফেব্রয়ারি মাসে ১১১ জন, মার্চ মাসে ৬৫ জন ও এপ্রিলের ১১ তারিখ পর্যন্ত ১২২ জনকে বিনা পাসপোর্টে ভারতে প্রবেশের সময় এসব বাংলাদেশীকে আটক করা হয়। তবে সীমান্ত এলাকায় তথ্য নিয়ে জানা গেছে, দেশের অনান্য সীমান্ত দিয়ে ধুড় পাচারের খবর পাওয়া না গেলও মহেশপুর সীমান্তে ধুড় পাচারের একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট আছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে নারী পুরুষ মহেশপুর সীমান্তে জড়ো হয় ভারতে প্রবেশের জন্য। তারপর দালালদের টাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। প্রাপ্ত তথ্য মতে বিজিবির হাতে আটকের চেয়ে অনুপ্রবেশের চিত্র আরো বেশি। বিজিবর হাতে খুব কম সংখ্যক আটক হচ্ছে। এদিকে বিজিবির হাতে আটক হওয়া ব্যক্তিরা ভারতে প্রবেশে চিকিৎসার কথা বলেছেন। কিন্তু তাদের কথা আশ্বস্ত হতে পারে না বিজিবি। অনেক সময় দেখা গেছে পরিবার ধরে ভারতে যাচ্ছে। সর্বশেষ গত ১১ এপ্রিল মহেশপুরের বাঘাডাঙ্গার কুমিল্লাপাড়া এলাকার একটি পেয়ারা বাগান থেকে দালাল নিজাম উদ্দীন ও খায়রুলসহ ৮ জনকে আটক করে বিজিবি। আটককৃকতদের বাড়ি মোড়লগঞ্জ, যশোরের চাচড়া, নড়াইলের কালিয়া ও খুলনার ফুলতলা এলাকায়। মহেশপুর ৫৮ বিজিবির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম খান এ তথ্য জানান।
Design and developed by zahidit.com