সাত দিনের কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে প্রশাসনের কঠোর সিদ্ধান্ত

প্রকাশিত: ২:৫৯ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৩, ২০২১

সাত দিনের কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে  প্রশাসনের কঠোর সিদ্ধান্ত

বিশেষ প্রতিনিধি, কালীগঞ্জ ॥
সাত দিনের কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় বাজার ব্যবসায়ী, মটরশ্রমিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে মতবিনিময় করেছেন উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে করোনা প্রতিরোধ কমিটি এ সভার আয়োজন করেন। করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা রানী সাহার সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, করোনা প্রতিরোধ কমিটির উপদেষ্টা, ঝিনাইদহ-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল আজীম আনার।
সভার শুরুতে সরকার ঘোষিত করোনা ভাইরাস রোগ কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধকল্পে কার্যাবলী ও চলাচল বিধি-নিষেধ আরোপ সম্বলিত পত্র পাঠ করে শুনান উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এরপর খোলামেলা আলোচনা শুরু হয়।
আলোচনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ঠান্ডু, পৌর মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ, কালীগঞ্জ থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি) মুহাঃ মাহফুজুর রহমান মিয়া, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শামীমা শিরিন লুবনা, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহানাজ পারভিন, কালীগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নয়ন খন্দকার, সাংবাদিক জামির হোসেন, শাহজাহান আলী বিপাশ, এনামুল হক সিদ্দিক, বাজার ব্যবসায়ী নেতা ফরিদ উদ্দীন, দোকান ব্যবসায়ী সমিতির নেতা মনিরুল ইসলাম,কাঁচাপাকা মাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জিল্লুর রহমান, মটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শরিফুল ইসলাম, হোটেল ব্যবসায়ী নেতা সুভাষ ঘোষ প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে এবং কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নের জন্য কালীগঞ্জের তিনটি স্থানে ( নলডাঙ্গা ভুষন স্কুল মাঠ, শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম ও মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রি কলেজ মাঠে) স্বাস্থ্য বিধি মেনে সকাল ৯ টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত কাঁচা বাজার বসানো, জরুরী যানবাহন ব্যতিত সকল প্রকার যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধকরণ, সকল প্রকার শপিং মল, চায়ের দোকান, ফলের দোকান, গ্যারেজ, হাটচাঁদনী এবং রাস্তার পাশে বাজার বন্ধ রাখা, দুপুর ১২ থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত এবং রাত ১২ থেকে ভোর ৬ টা পর্যন্ত হোটেল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে হোটেলে কোন খাবার বিক্রি করা যাবেনা। পার্সেল বিক্রি করতে পারবেন। এছাড়া লকডাউনের মধ্যে মোটর সাইকেল চলাচলও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধুমাত্র জরুরী প্রয়োজনের মোটর সাইকেলে এক জনের বেশি কেউ চলাচল করতে পারবে না। বাজার ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ প্রশাসনের স্বেচ্ছাসেবক বা বাজার তদারকি করার জন্য মোটর সাইকেলে চলাচল করতে পারবেন তবে সেক্ষেত্রে থানা পুলিশের পাস নিতে হবে। এসব নিয়ম অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণসহ তাদের মোটর সাইকেল থানায় আটক রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ