ঢাকা ২১শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৯শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:১৭ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২০
ঝিনাইদহ সংবাদ ডেস্ক-
নিখোঁজের ৫ দিনের মাথায় ঝিনাইদহের শৈলকুপায় কলেজ ছাত্র সুজনের অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে হাজামপাড়া গ্রামের ধান ক্ষেতের বরিং এর ভেতরে মাটি খুড়ে সেখান থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে।
জানা যায়, উপজেলার আউশিয়া গ্রামের সুজন (২০) নামের এক কলেজ ছাত্র ৪ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলো।
৫ দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার রাতে সুজনের অর্ধগলিত মৃতদেহ হাজামপাড়া ধান ক্ষেতের বরিং এর মাটির নিচ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাকে কুপিয়ে হত্যা শেষে মৃতদেহটি মাটির নিচে পুতে রাখা হয়েছিলো বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
সে মালয়েশিয়া প্রবাসি আউশিয়া গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ জানায়, পাওয়ানা টাকা আনতে গিয়ে সে আর বাড়ি ফেরেনি বলে শৈলকুপা থানায় একটি জিডি করেছিলো পরিবার। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাকিব ও নাজমুল নামে দুই জনকে আটক করেছে। সাবিক আটকের পর থেকে তার পরিবারের লোকজন বাড়িঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে গেছে।
নিখোঁজ সুজনের চাচা রফিকুল ইসলাম রবি জানান, গত রোববার (২০ সেপ্টম্বর) বিকালে সুজন সার আনতে আউশিয়া বাজারে যায়। বাজারের একটি চায়ের দোকানে চা খাওয়ার সময় পাওয়ানা ৮০০ টাকা নেওয়ার জন্য জনৈক রাকিব মোবাইল করে। রাকিব সে সময় সুজনকে রাকিবের ছোট ভাই সাকিবের মটরসাইকেলে চলে আসার জন্য জানালে চায়ের দোকান থেকে সুজন সাকিবের মটরসাইকেলে চলে যায়। বাজারের অনেকেই ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেন। সেই থেকে ৪ দিন ধরে সুজন নিখোঁজ ছিলো।
তবে কি কারনে তাকে হত্যা করে গুম করা হয়েছিল তা এখনো স্পষ্টভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ।
এদিকে সুজন নিখোঁজের ঘটনায় সাকিবকে আটক করা হলে তার ভাই রাকিব এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা গা ঢাঁকা দিয়েছে।
Design and developed by zahidit.com