ঢাকা ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:৫৮ অপরাহ্ণ, মে ১৫, ২০২০
নয়ন খন্দকার, কালীগঞ্জ ॥ ১৫ মে’২০২০
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় চলতি বছর রোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। সোনালী রং ধারণ করে বিস্তৃর্ণ মাঠ জুড়ে দোল খাচ্ছে ধানগাছ। তবে বৈরি আবহাওয়ার ও ধানের ন্যায্যমূল্য নিয়ে শঙ্কিত রয়েছেন কৃষক। ইতিমধ্যে মাঠ থেকে ৭৫ ভাগ ধান কাটা শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ । তবে চলতি বছর মহামারি করোনার জন্য বাইরে থেকে দিনমজুর আসতে না পারার কারনে কৃষকদের ফসল কাটতে দারুন ভোগান্তি পেতে হয়েছে। অনেক কৃষক অধিক টাকা ব্যয় করে জমির ধান কাটতে বাধ্য হয়েছেন। কৃষকরা জমি থেকে ধান কেটে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ বিশ্বাস জানান, চলতি রোরো মৌসুমে ১৪ হাজার ৪শ হেক্টর জমিতে ধান রোপনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। সেখানে ১৩ হাজার ৮শ ৯০ হেক্টর জমিতে ধান রোপনের লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়েছে। উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মোট ৩৪ হাজার ৭২৫ জন কৃষক চলতি বছর রোরো ধান আবাদ করেছেন। ইতোমধ্যে ৭৫ ভাগ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে। বাজারে চিকন ধান ১০০০ থেকে ১০১০ টাকা মণ এবং মোটা ধান ৯৫০ থেকে ৯৬০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা। আর সরকারিভাবে ধান ক্রয়ের জন্য ১০ হাজার ৪৭৩ জন কৃষকের প্রাথমিক তালিকা করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলার মেগুরখিদ্দা গ্রামের ধান চাষী মাহবুবুর রহমান, সিংগী গ্রামের বাসু দাস ও প্রবীর দাসসহ একাধিক চাষী জানান, তাদের ধান চাষে তারা ভাল ফলন পেয়েছেন। ইতোমধ্যে ধান কাটা শেষ করেছেন। এখন চলছে ধান ঝাড়া। কিন্তু ধানের ন্যায্য মূল পাবেন কিনা তা নিয়ে তারা শঙ্কিত।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ জাহিদুল করিম জানান, আগামী রোববার থেকে সরকারিভাবে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হবে। চলতি মৌসুমে ২৫৪৪ মেঃ টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১০ হাজার ৪৭৩ জন কৃষকের তালিকা করা হয়েছে। সেখান থেকে লটারির মাধ্যমে ২৫৪৪ জন কৃষককে চুড়ান্ত করে তাদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হবে। একজন মাত্র ১ টন ধান বিক্রি করতে পারবেন। কৃষকদের কাছ থেকে ২৬ টাকা কেজি দরে ধান ক্রয় করা হবে।
Design and developed by zahidit.com