ঢাকা ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:০৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২১, ২০১৯
সংবাদ ডেস্ক॥
ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের সরকারী এম ইউ কলেজের সাময়িক বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ
মাহবুবুর রহমানের পূর্ণবহালের আদেশটি হাইকোর্ট স্থগিত ঘোষনা
করেছে। সেই সাথে হাইকোটের রুল অনুসরন না করায় জাতীয়
বিশ্বিবদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক কে হাইকোর্টে তলব করা হয়েছে।
পূনর্বহালের পূর্বের আদেশের বিপরিতে রি-রীট পিটিশন এর প্রেক্ষিতে গত
২৬ নভেম্বর মহামান্য হাইকোর্ট ওই স্থগিতাদেশটি প্রদান করেন। উল্লেখ্য,
দীর্ঘদিন ধরে অত্র কলেজের অধ্যক্ষ পদটি নিয়ে জনমনে নানা বিভ্রান্তি
ছড়ানোতে কলেজ কর্তৃপক্ষ সঠিক খবর প্রকাশে হাইকোর্টের দেওয়া
আদেশের কপিগুলি স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রদান করেছেন।
এম ইউ কলেজের বর্তমান ভারপ্রাত্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মজিদ মন্ডল জানান,
নিযোগে বানিজ্য, কলেজের অর্থ আত্নসাৎ ও ডিজির প্রতিনিধি
ছাড়াই নিযোগ পরীক্ষা গ্রহণ সহ প্রায় ১৫টি অনিয়মের অভিযোগে
২০১৫ সালে এম ইউ কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাতে অধ্যক্ষ মাহবুবার
রহমানকে সাময়িক বহিস্কার করা হয়। এবং তার ওই বহিস্কারের রেজুলেশন
কপিটি অনুমোদনের জন্য জাতীয় বিশ্ববদ্যালয়ে প্রেরন করেন। কিন্তু অদৃশ্য
কারনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমানের বরখাস্ত
করণের সিদ্ধান্তটি অনুমোদন না করে কালক্ষেপন করতে থাকে। এমতাঅবস্থায়
এম ইউ কলেজ পরিচালনা পরিষদ তার সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিয়ে
মহামান্য হাইকোর্টে একটি রীট পিটিশন নং ১০৩২/১৬ দায়ের করে। এরই
প্রেক্ষিতে মহামান্য হাইকোট গত ১১/০২/১৯ তারিখে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়
কর্তৃপক্ষ কে একটি নির্দ্দেশনা প্রদান করেন। এরিমধ্যে সাময়িক
বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান নানান মিথ্যার আশ্রয়ে বিশ^বিদ্যালয়
কলেজ পরিদর্শককে ম্যানেজ করেন। এবং জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত
কলেজ পরিদর্শক ড. মোঃ মনিরুজ্জামান মহামান্য হাইকোর্টের রীট
পিটিশন নং ১০৩২/১৬ এর অপব্যাখ্যা করে অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান কে
০৬/০৫/২০১৯ ইং তারিখে পূনর্বহালের যে আদেশ দেন। এ আদেশের বিপক্ষে
১২২৬১/২০১৯ নং রি-রীট পিটিশন এর প্রেক্ষিতে গত ২৬ নভেম্বর মহামান্য
হাইকোর্ট তার পূর্ণবহালের ওই আদেশটি স্থগিত করেন। সেই সাথে
হাইকোর্টের রায় অনুসরণ না করে কিভাবে অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান কে
পূনর্বহালের আদেশ দেওয়া হলো তা জানতে চেয়ে মহামান্য হাইকোর্ট
কারণ দর্শানো নোটিশ জারি করা সহ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট ওই
কলেজ পরিদর্শককে হাইকোর্টে তলব করেছেন।
উল্লেখ্য, সাময়িক বহিস্কৃত মাহবুবুর রহমান কলেজে চাকুরীকালীন সময়ে
নিয়োগে অনিয়ম, ২০১২, ২০১৩ এবং ২০১৪ সালে কলেজের আয়-ব্যয় ক্যাশ
বহিতে না লিখে আত্নসাৎ, যোগদানের আগেই গোপনে পুকুর ইজারা,
ডিজির প্রতিনিধি ছাড়াই নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ সহ তাদের স্বাক্ষর
জালিয়াতি, যোগদানের আগেই চাকুরীর অনুমোদন ও সভা আহবান ছাড়াই
রেজুলেশন করা সহ তার বিরুদ্ধে প্রায় ১৫ টির বেশি অনিয়মের অভিযোগ
উঠেছে।
এদিকে হাইকোট থেকে পূর্ণবহালের আদেশ স্থগিতের বিষয়ে সাময়িক
বহিস্কৃত অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান জানান, কলেজ সরকারী হওয়ায় পর থেকে
বর্তমানে কলেজে কোন কমিটি নাই। তাই যারা রিট করেছেন তাদের রিট
করা ভিত্তিহীন। একারনেই হাইকোট স্থগিতের রুলটি ভ্যাকেট করবেন বলে
জানান তিনি।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মজিদ মন্ডল আরো জানান, বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ
মাহবুবুর রহমানের সম্প্রতি পূর্ণবহালের আদেশটি মহামান্য হাইকোট
স্থগিত ঘোষনা করেছেন। এ সংক্রান্ত রায়ের সকল কপি কলেজ কর্তৃপক্ষ
হস্তগত করেছেন। তিনি জানান, বরখাস্তকৃত অধ্যক্ষ মাহবুবুর রহমান নিজ
স্বার্থ উদ্ধারে কলেজ সংক্রান্ত নানান মিথ্যা ও ভিত্তিহীন খবর অপপ্রচারে লিপ্ত
রয়েছেন। এতে তিনি কালীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী সরকারী মাহতাব উদ্দিন
ডিগ্রী কলেজের যাতে সুনাম ক্ষুন্ন করে চলেছেন। সে কারনে তার
বিভ্রান্তমুলক অপপ্রচারে কালীগঞ্জ বাসীকে সজাগ ও প্রকৃত আসল ঘটনা
তুলে ধরতে কলেজ কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের হাইকোটের কপিটি সরবরাহ
করেছেন।
Design and developed by zahidit.com