ঢাকা ২৭শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৫শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:২৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১২, ২০১৯
নয়ন খন্দকার, কালীগঞ্জ ॥ ১২ ডিসেম্বর’২০১৯
পেয়াজের দাম কমার পর ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরে টিসিবি পেয়াজ বিক্রি শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মৃধা এন্টার প্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠান কে তুরস্কের পেয়ার বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে এ পেয়াজ কিনতে লম্বা লাাইনে দাঁড়িয়ে এখনো অনেকে ভীড় করছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কালীগঞ্জ বাজারে ১০০ থেকে ৮০ টাকা দরে দেশী পেয়াজ বিক্রি করতে দেখা যায়। আর তুরস্কের পেয়ার বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি দরে।
টিসিবি’র ডিলার শিপন মৃধা জানান, কালীগঞ্জের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান বিজু, সাবেক আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি ইসরাইল হোসেন, সাবেক এমপি আব্দুল মান্নানের ভাই আব্দুর রশিদ খোকন ও আমিসহ মোট ৪ জন টিসিবি’র ডিলাম আছি। কিন্তু কেউ টিসিবি’র মালামাল তুলেনি। শুধুমাত্র আমিই ৫ হাজার কেজি পেয়াজ তুলেছি। পেয়াজ গুলি তুরস্কের। ৪৫ টাকা কেজি দরে জনপ্রতি ২ কেজি করে পেয়াজ দেয়া হচ্ছে। সকালে ঝিনাইদহ-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল আজীম আনার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা রানী সাহা টিসিবি’র পেয়াজ বিক্রির উদ্বোধন করেন।পেয়াজ কিনতে আসা চাপালী গ্রামের আব্দুর রহমান, কলাহাটা পাড়ার শহিদুল ইসলামসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, তুরস্কের পেয়াজ অনেক বড়। দেখতে অনেকটা মাল্টা বা আপেলের মত। এতে পেয়াজের গন্ধ ও স্বাদ নেই। আবার অনেক পেয়াজ পঁচে গেছে। তারা প্রত্যকেই ৪৫ টাকা দরে দুই কেজি করে পেয়াজ কিনেছেন।কোটচাঁদপুর রোডের মুদি ব্যবসায়ী রায় স্টোরের মালিক সঞ্জয় রায় জানান, তারা ১০০ থেকে ৮০ টাকা দরে দেশী পেয়াজ বিক্রি করছেন। বড় পেয়াজ ১০০ টাকা, মাঝারী পেয়াজ ৯০ টাকা ও ছোট সাইজের পেয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে হচ্ছে।উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুর্বণা রানী সাহা জানান, আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) থেকে কালীগঞ্জে টিসিবি’র পেয়াজ দেয়া শুরু হয়েছে। স্টোক থাকা পর্যন্ত পেয়াজ বিক্রি চলমান থাকবে। পেয়াজের দাম কমার পর টিসিবি’র পেয়ার বিক্রির হওয়ার বিষয়ে তিনি জানান, কালীগঞ্জে একজন মাত্র টিসিব’র ডিলাম আছে। তার মাধ্যমে টিসিবি পেয়াজ এনে জনগনকে দেয়া হচ্ছে। আরো তিনজন ডিলাম আছে, তারা কেন পেয়াজ বিক্রি করছে না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাকিরা তাদের টিসিবি’র নবায়ন করেনি। যার কারনে তাদের আর এখন ডিলারশীপ নেই।
Design and developed by zahidit.com