ঢাকা ২৬শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১১ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৪শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৫৩ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২১, ২০১৯
দাউদ হোসেন,মহেশপুর প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার সর্ব বৃহত খালিশপুর পশু হাট অবৈধভাবে ৩ সিন্ডিকেটের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেওয়া হয়েছে।
এলাকাবাসী ও উপজেলা নির্বাহী অফিস সূত্রে প্রকাশ, খালিশপুর পশু হাট টি বাংলা ১৪২৬ সালের জন্য ইজারা আহবান করলে কাকিলাদাড়ী গ্রামের মেম্বার রকিমুজ্জামান বিপলু সিন্ডিকেট সর্বোচ্চ ৩৯ লাখ ২৭ হাজার টাকায় ডাক দেয়। সরকারের সম্ভাব্য ইজারা মূল্য ছিল ৪৯ লাখ টাকা। সরকারের লক্ষমাত্রা অর্জিত না হওয়ায় হাটটি ইজারা না দিয়ে স্থানীয়ভাবে খাস কলেকশনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। স্থানীয় নায়েব আরিফুল ইসলাম নিয়ম-নীতি তোয়াক্কা না করে বিপলু গ্রুপের লোকজন দিয়ে হাট কালেকশন করে। একটি গোপন সূত্রে জানায় যায়, ঝিনাইদহ জেলার ৩টি সিন্ডিকেট অলিখিতভাবে হাটটি নিজেদের মধ্যে বন্দোবস্ত নিয়ে পরিচালনা করছে। এরমধ্যে স্থানীয় মহেশপুর সিন্ডিকেট ৫০%, ঝিনাইদহ সিন্ডিকেট ৩০% এবং কালীগঞ্জ সিন্ডিকেট ২০%। সূত্রটি আরো জানায়, প্রতি হাটে যে টাকা খাজনা আদায় হয় তারমধ্যে ৭০ হাজার টাকা সরকারী খাতে জমা দেওয়া হয়। বাকী টাকা ৩ গ্রুপ অংশ মোতাবেক ভাগ-বাটোয়ারা করে নেয়। এরমধ্যে সরকারী দলের নেতা, সরকারী প্রশাসন ও গনমাধ্যমের নামে বিভিন্ন অংকের বরাদ্দ উপর থেকে কেটে নেওয়া হয়। এগুলি স্থানীয় সিন্ডিকেটের ২ নেতা পরিচালনা করে থাকে। খোজ নিয়ে জানা গেছে, যাদের নামে বরাদ্দ রাখা হয়েছে তাদেরকে আদৌ এই বরাদ্দের টাকা দেওয়া হয় না। ঐ সিন্ডিকেট গ্রুপ অন্য ২ গ্রুপকে ফাঁকি দিয়ে পকেটস্থ করে। এছাড়া স্থানীয় নায়েবের পকেট খরচের জন্য প্রতি হাটে একটি অংশ দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে স্থানীয় সিন্ডিকেট প্রধান রকিমুজ্জামান বিপলু মেম্বারকে ৫৮ বিজিবি আটক করে থানায় সোপার্দ করেছে। অভিযোগ ছিল সে বিজিবি’র নামে টাকা কেটে রাখত। এ ব্যাপারে মহেশপুর থানায় তার বিরুদ্ধে একটি চাঁদাবাজী মামলা হয়েছে। যার নং-৩১ তারিখ ১৭/৮/১৯ইং। স্থানীয় এসবিকে ইউপি নায়েব আরিফুল ইসলাম তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করার জন্য বলেন।
এ বিষয়ে মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শ্বাশতী শীলের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সরকারী লক্ষমাত্রার চেয়ে দর কম হওয়ায় তাদের পক্ষে হাটটি ইজারা দেওয়া সম্ভব হয়নি অনুমোদনের জন্য জেলা প্রশাসনের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে যা প্রক্রিয়াধীন আছে।
Design and developed by zahidit.com