কোটচাঁদপুরে শপিং ব্যাগ থেকে নবজাতক উদ্ধার, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়া ও অ্যাম্বুলেন্স চালক আটক

প্রকাশিত: ৯:২৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ২০, ২০১৯

কোটচাঁদপুরে শপিং ব্যাগ থেকে নবজাতক উদ্ধার, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়া ও অ্যাম্বুলেন্স চালক আটক

 

কবির হোসেন, কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি ॥

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে শপিং ব্যাগ থেকে জীবিত এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিত্যাক্ত ভবনের পিছন থেকে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।

এদিকে নবজাতকের মা-বাবা জনগণের রোশানলে পড়ায় তাদের কে পুলিশে দেওয়া হয়। নবজাতকের পিতা শহরের নওদা গ্রামের আক্কাস আলী ও মা ববিতা খাতুন।

এলাকাসূত্রে জানা যায়, হাসপাতাল পাড়ার চা ব্যাবসায়ী মনু মিয়ার স্ত্রী নার্গিস বেগম ছাগল খাওয়াতে গিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিত্যাক্ত ভবনের পিছনে একটি শপিং ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখে। পরে ব্যাগের ভিতর পলিথিনে মোড়ানো একটি নবজাতক দেখতে পেয়ে নিজের বাড়ির লোকজনকে খবর দেয়। নবজাতকটি জীবিত আছে বুঝতে পেরে তারা তাকে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।

এদিকে নবজাতককে ফেলে রেখে পালিয়ে যাবার সময় এলাকাবাসী মা-বাবাকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নবজাতকের বাবাকে পুলিশ হেফাজতে নেয় এবং মাকে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। নবজাতকের বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের শেষে প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটন করে নবজাতকের বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। আর এই মামলায় ঘটনার সাথে জড়িত কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়া রিনা খাতুন ও তার অ্যাম্বুলেন্স চালক রকি নামে দুই জনকে আটক করা হয়েছে।

কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ অমিত কুমার নাথ জানান, নবজাতক ও মাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের অবস্থা গুরতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

কোটচাঁদপুর থানার নবাগত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নজবজাতকের বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। এবং নবজজাতক ও তার মাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ওসি আরও জানান ঘটনার সাথে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের রিনা খাতুন নামে এক আয়া ও তার অ্যাম্বুলেন্স চালক রকি এই দুই জন জড়িত বলে অভিযোগ পেয়ে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।