মহেশপুরে দেড় বছরেও শেষ হয়নি খালিশপুর থেকে জিন্নানগর সড়ক নির্মাণের কাজ

প্রকাশিত: ৭:০৪ অপরাহ্ণ, জুন ১৩, ২০১৯

মহেশপুরে দেড় বছরেও শেষ হয়নি খালিশপুর থেকে জিন্নানগর সড়ক নির্মাণের কাজ

মহেশপুর প্রতিনিধি- দেড় বছর পেরিয়ে গেলেও একনেকে পাশ হওয়া ৭৮ কোটি টাকার ৪৮ কি.মি রাস্তার প্রকল্পের কাজ শেষ না হওয়ায় মহেশপুর উপজেলাবাসী চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। বর্ষার আগে প্রকল্পের কাজ শেষ না হলে জন-দূর্ভোগ আরো বাড়বে।
প্রাপ্ত সূত্রে প্রকাশ, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে মহেশপুর উপজেলার সড়ক ও জনপদ বিভাগের ৪৮কি.মি রাস্তা পিচ করনের জন্য একনেক সভায় ৭৮ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহন করা হয়। খালিশপুর থেকে জিন্নানগর পর্যন্ত রাস্তার ৩টি প্যাকেজে কাজ করার জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মোজাহার এন্টারপ্রাইট লিঃ কে নিয়োগ করা হয়। ২০১৮ সালে নিয়োগ প্রাপ্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু করে আবার দীর্ঘদিন ফেলে রাখায় এলাকাবাসী চরম দূর্ভোগে পড়ে। ২০১৯ সালে পুনরায় আংশিক কাজ করে আবার কাজ বন্ধ করে দেয়। এখনও পর্যন্ত কাজটি বন্ধ হয়ে পড়ে আছে।
এ বিষয়ে সওজ বিভাগের ঝিনাইদহ নির্বাহী প্রকেীশলী নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ৪৮ কি.মি রাস্তা গত ২৯/৩/১৮ তারিখে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। খুলনার ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মোজাহার এন্টার প্রাইজ লিঃ কে ৩টি প্যাকেজে গত ডিসেম্বর ২০১৮ এর মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু কাজ শেষ না হওয়ায় আরো এক বছর ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত সময় বৃদ্ধি করা হয়। গত ১০ই জুন/১৯ পর্যন্ত রাস্তার কাজ হয়েছে মাত্র ১১ কি.মি বাকী ৩৭ কি.মি রাস্তা অসমাপ্ত রযেছে। এরমধ্যে ১৯ কি.মি রাস্তা এই বাজেটে করা সম্ভব হচ্ছে না। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান ও সড়ক বিভাগের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এই ১৯ কি.মি রাস্তা সমাপ্ত করতে বরাদ্দের অতিরিক্ত আরো ১২ কোটি প্রয়োজন। যার চাহিদাপত্র রিভাইজ বাজেট করে পাঠানো হয়েছে যা অনুমোদন স্বাপেক্ষে করা সম্ভব। নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম আরো বলেন, ১৮ কি.মি রাস্তা ২/১ মাসের মধ্যেই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে শেষ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে সরেজমিনে খোজ নিয়ে দেখা গেছে, ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তাদের কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়ে চলে গেছে। মোজাহার এন্টারপ্রাইজ লিঃ এর মালিক টিটু মিয়াকে মোবাইলে পাওয়া যায়নি। রাস্তার কাজ অসমাপ্ত থাকায় এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষক কাজীরবেড় ইউনিয়নের সামন্তা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আজিজ এই প্রতিবেদককে বলেন, ঈদের সময় বাড়ীতে যেতে তিনি চরম কষ্ট পেয়েছেন। দ্রুত এর সমাধান দাবী করেছেন।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ ৩ আসনের এমপি ্এ্যাড. শফিকুল আজম খাঁন চঞ্চলের সাথে যোগযোগ করলে তিনি বলেন, রাস্তাটি সমাপ্ত না হওয়ায় জনগনের ভোগান্তি বেড়েছে। যেকোন মূল্যে প্রকল্পের রাস্তার কাজ শেষ করতে হবে। ইতিমধ্যে বাকী অংশের কাজ শেষ করার জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দিয়েছেন। এছাড়া প্রকল্পের যে সমস্যা আছে তা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করে সমাধান করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।