মহেশপুরে বোরো ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

প্রকাশিত: ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ, মে ৯, ২০১৯

মহেশপুরে বোরো ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

মহেশপুর প্রতিনিধি-
ঝিনাইদহের মহেশপুরে গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবার বোরো আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছেড়ে গেছে। আগাম জাতের ধান কাটা ও মাড়াই প্রায় শেষ পর্যায়। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ধান গোছানো শেষ হয়ে যাবে। এদিকে কৃষি উপকরণসহ সকল দ্রব্য মূল্যে ঊর্ধ্বগতির পাশাপাশি কৃষকরা চাচ্ছেন উৎপাদিত ধানের ন্যায্যমূল্য। সরকার প্রতিকেজি ধানের মূল্য ২৬ টাকা বেধে দিলেও প্রকৃত কৃষকরা গোডাউনে ধান দিতে পারবে কি না এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ২০ হাজার ৩৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ১৫০ হেক্টর বেশি। গত মওসুমে বোরো ও আউস ধানের ফলন বিপর্যয়ে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার এলাকায় অনেক বেশি জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে যে পরিমান ধান কাটা হয়েছে তাতে কৃষকের বাম্পার ফলন হয়েছে।
উপজেলার বাঁশবাড়ীয়া, সামন্তা, নেপা, ভৈরবা, যাদবপুর, জাগুসা, গারাবাড়িয়া,মান্দাতলা, ফতেপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত বছর বীজ সংকট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে ধানের চাষ এবারের চেয়ে প্রায় অর্ধেক উৎপাদন হয়েছিল। এবারে কৃষকরা পুষিয়ে নিতে গত বছরের থেকে প্রায় দ্বিগুণ ধান চাষ করেছে। নাটিমা গ্রামের কৃষক দাউদ হোসেন জানান, জমিতে ধানের ফলন গত কয়েক বছরের চেয়ে এবার ভালো। তবে সব জিনিসের দাম বেশী হবার কারণে শ্রমিকের দামও বেড়ে গেছে। ফলে ধানের ন্যায্য মূল্য না পেলে পুষাবেনা। বর্তমানে এলাকায় ধানের মূল্য ৭৫০-৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করতে ১০/১২ হাজার টাকা খরচ হয়। শ্রমিকসহ উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় কৃষকের লাভ না হয়ে লোকসান গুণতে হচ্ছে।
বোরো ধানের বাম্পার ফলন প্রসঙ্গে মহেশপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আবু তালহা বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবারে উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী পরিমাণ জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। তা ছাড়া বোরো ধানের ফলন হয়েছে আশাতীত। আগাম জাতের ধান কাটা থেকে যে ফলন পাওয়া গেছে তা অতীতের চেয়ে অনেক বেশী।