ঢাকা ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৫:৩১ অপরাহ্ণ, মে ২, ২০১৯
ঝিনাইদহ সংবাদ ডেস্ক ঃ ঘূর্নিঝড় ফণি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে আঘাত আনতে পারে বলে মনে করছেন আবওহাওয়া বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমে বিভিন্ন সুত্রের বরাত দিয়ে এমনই সংবাদ প্রচার করতে দেখা গেছে। ঝিনাইদহ প্রশাসন এবং পৌরসভার মেয়র কতৃক শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে সতর্কতামুলক মাইকিং প্রচার করতেও দেখা গেছে। অন্যদিকে ঘূর্নিঝড় ফণি ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে আঘাত আনতে পারে এমন সংবাদ এর ভিত্তিতে মানুষের মধ্যে এক ধরনের চাপা আতংক বিরাজ করছে। ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক জনাব সরোজ কুমার নাথ ঝিনাইদহ সংবাদ কে বলেন,বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ শুক্রবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাহরামপুর-ভুবেনশ্বর উপকূলে আঘাত হানার পর শনিবার বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করবে। মূলত ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর এ ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র হবার আশংক্ষা দেখা যাচ্ছে। তবে ঝিনাইদহে বড় কোনো নদী না থাকায় জলোচ্ছাসের মত কোনো ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা তেমন নেই। ঝড় ও বৃষ্টি থাকতে পারে টানা কয়েকদিন। তিনি আরো বলেন জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ঝিনাইদহের কোটচাদপুর সহ প্রত্যেকটি উপজেলা প্রশাসনদের কে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ মোকাবিলায় সব ধরনের ব্যাবস্থা গ্রহন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দের কে নিয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ মোকাবিলায় করনীয় বিষয় সমুহ নিয়ে জরুরী সভা ডাকা হয়েছে। তিনি বলেন বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ যে কোনো ধরনের আঘাতের মোকাবিলায় ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসন সতর্ক অবস্থানে থাকবে। উল্লেক্ষ ঃ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ শুক্রবার ভারতের বাহরামপুর-ভুবেনশ্বর উপকূলে আঘাত হানার পর শনিবার বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করবে। মূলত ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর এবং চুয়াডাঙ্গায় থাকবে ফণি’র কেন্দ্র। তবে সারাদেশেই তার প্রভাব পড়বে।
ঘূর্ণিঝড় পূর্বাভাস সংক্রান্ত ওয়েবসাইট ‘উইন্ডি ডটকম’ থেকে পাওয়া স্যাটেলাইট চিত্র এমনই আভাস দিচ্ছে।
উইন্ডি বলছে, শনিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ অতিক্রম করে বাংলাদেশের ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলা এবং চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ঘূর্ণিঝড় ফণি বাংলাদেশ অতিক্রম করবে। এ সময় ফণি’র ধ্বংসলীলা চলতে পারে পুরো দেশই।
বর্তমানে ফণি পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় সামান্য উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।
বুধবার বাংলাদেশ সময় ১২টায় চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ১ হাজার ২৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ১৯০
কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ৯৫
কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হওয়া আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে কেন্দ্রের কাছাকাছি সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক আবহাওয়াবিদ মোহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা এবং পায়রা সমুদ্র বন্দরের দুই নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পশ্চিম উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। যাতে স্বল্প সময়ে নোটিশে তারা নিরাপদে চলে আসতে।
একই সঙ্গে জেলেদের গভীর সাগরে যাওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
আমাদের সবাইকে আল্লাহ তায়ালার সাহায্য ও রহমত চাইতে হবে।
Design and developed by zahidit.com