ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার নিত্যানন্দপুর ইউনিয়ন ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে স্থানীয় বাগুটিয়া গ্রামের এমপির মোড়ে ৩ গ্রামবাসীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়েছে। এরা হল শৈলকুপা উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানার বড় ভাই বাগুটিয়া গ্রামের বাদশা মিয়া (৫০)। অপর দু’জন মোস্তাফা ও সাইদুল্লাহ। আহতদের মধ্যে বাদশা ও মোস্তাফার অবস্থা গুরুতর। তাদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে।
শৈলকুপা থানার ওসি আলমগীর হোসেন এ খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, উপজেলার নিত্যান্দপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপ পরস্পরবিরোধী সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূর হাটফাজিলপুর ক্যাম্প থেকে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। পুলিশের পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে তিনি জানান, এর আগে ১৪ আগস্ট রাত ১০টার দিকে একই স্থানে বিবদমান নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন ও সাবেক চেয়ারম্যান মফিজের সমর্থকরা পূর্ব ঘটনার জের ধরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ওই দিন আহত হন উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন।
এ ঘটনায় শৈলকুপা থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর জের ধরেই মঙ্গরবার ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানান তিনি। এদিকে ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান সাজাবাজপুর গ্রামের ফারুক হোসেন ফোনে বলেন, এলাকায় খুন-জখম, বাড়িঘরে হামলা-ভাংচুর করে আসছে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী রঘুনন্দপুর গ্রামের মফিজ ও তার সর্মথকরা।
তিনি দাবি করেন, বাগুটিয়া গ্রামের মানুষ কারও সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি করে না। অথচ দূর থেকে গ্রাম্য অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে আসছে। এ ব্যাপারে সাবেক চেয়ারম্যান মফিজের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষ গ্রাম্য অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আছে। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
