ঝিনাইদহ পিটিআই ফটকে মনিষীদের বাণীর স্থলে ‘বিজ্ঞাপন’

প্রকাশিত: ১:০৭ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ৩, ২০১৮

ঝিনাইদহ পিটিআই ফটকে মনিষীদের বাণীর স্থলে ‘বিজ্ঞাপন’

ঝিনাইদহ সংবাদ ডেস্ক :

ভেতরে প্রবেশ করার আগেই গেটের মুখে পড়বে ময়লা স্তুপ, বিলবোর্ডে মনিষীদের বাণী’র পরিবর্তে বিভিন্ন কোচিং, হোটেল কিংবা মেচ ভাড়ার বিজ্ঞাপন। বলছিলাম ঝিনাইদহ প্রাইমারী শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র(পিটিআই) এর কথা। এসব চিত্র থাকলেও যেন দেখার কেউ নেই।

ঝিনাইদহ জেলা শহরের হামদহ এলাকার শেরে বাংলা সড়কে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিশেষ প্রশিক্ষণ দানের জন্য ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় সরকারী প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। প্রতিষ্ঠানটির আয়োতন প্রায় সাড়ে ৫ একর।

সাধারনত সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়োগের পর প্রতি বছর ২৪০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে বিদ্যালয়ে পাঠদানের উপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। তবে বিদ্যালয়টিতে ১৭ জন প্রশিক্ষকের বদলে আছে মাত্র ১০ জন।

নানা সমস্যা রয়েছে এই কেন্দ্রটির। দীর্ঘদিন এমন সমস্যা চল্লেও তা সমাধানে কর্তৃপক্ষ নিচ্ছে না কোন উদ্দোগ।শুধু আশা’র বাণীই দিচ্ছেন।

শিক্ষক প্রশিক্ষন কেন্দ্রের মুল ফটকেই ২০১৪ সালের দিকে দু-পাশেই চারকোনাকৃতির দুটি বিলবোর্ড বসানো হয় মনিষীদের শিক্ষামুলক বাণী লেখার জন্য। বিলবোর্ড স্থাপনের পর বাণীও লেখা হয়েছিল। কিন্তু গেল প্রায় ৬ মাস অজ্ঞাত কারনে সেগুলো মুছে ফেলা হয়। এরপর থেকেই সেখানে স্থান হচ্ছে বিজ্ঞাপনের পোস্টার, জমছে ময়লা।

বিলবোর্ডের নিচে রিতীমত তৈরি হয়ে ময়লা ফেলার স্থান। জমে ময়লা আবর্জনার স্তুপ। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রবেশের পথেই দুর্গন্ধ পেতে হচ্ছে সকলকে।

অন্যদিকে গেটের অপর পাশে শোভা বার্ধনের জন্য ভরাট করা নিচু অংশে লাগানো হয়েছে বিভিন্ন কাঠের গাছ, যেখানে ফুল গাছের সংখ্যা একেবারেই কম। সেখানে জমেছে ময়লা-আবর্জনা।

এদিকে পিটিআই এর মুল ফটকের পাশেই রয়েছে একটি মসজিদ। সেখানে নামাযের সময় মসজিদে যেতে দুর্গন্ধ পেতে হচ্ছে মুসল্লিদের। এমন পরিস্থিতেও প্রতিষ্ঠানটি এবার খুলনা বিভাগে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছে আর সুপার বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ সুপার নির্বাচিত হয়েছে যা জনমনে প্রশ্ন তুলেছে।

মুসল্লিরা বলেন, মসজিদে যেতে ময়লার আবর্জনার কারনে দুর্গন্ধ পেতে হচ্ছে। আমার বিভিন্ন ধরনের পোস্টার লাগানো হচ্ছে।এটা আসলে কুবই খারাপ। এগুলো বন্ধ হওয়া দরকার।

তবে পিটিআই মসজিদের ইমাম মো: আবু সালেহ বলেন, আবর্জনা বা ড্রেনের দুর্গন্ধ বন্দের জন্য এবং আজে-বাজে পোস্টার লাগানো যেন না হয় প্রবেশ মুখে এ ব্যাপারে আমি পিটি আই সুপার’কে জানিয়েছি। তবে তেমন কিছুই তো হচ্ছে না দেখছি।

এসব বিষয়ে ঝিনাইদহ পিটিআই সুপার আতিয়ার রহমান জানান, মুল ফটকে পোস্টার কারা লাগায় জানি না। তবে ময়লা আবর্জনা থাকলেও তা সরানোর দায়িত্ব আমাদের না। পৌরসভাকে জানিয়েছি তারা না সরালে কিছু করার নেই। রাতে হয়তো কেউ ময়লা এখানে ফেলতে পারে তবে নাইট গার্ড থাকলেও তা সে দেখবে না গেটের বাইরে বেরিয়ে।