জে আর নাঈম,ঝিনাইদহ:
অপূর্ব হাসান প্রতারণার ফাঁদে পড়েছে ভিটে বাড়ীসহ সহায় সম্বল হারিয়ে বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে। ১৭ অক্টোবর সকাল ১১ টায় ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন আমি অপূর্ব হাসান পিতা ট্যাংরা আলী মন্ডল গ্রাম সারুটিয়া পোস্ট উপজেলা কোটচাঁদপুর জেলা ঝিনাইদহ। এই মর্মে সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে বিচারের দাবীতে যে বিবাদী মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম ৩৫ পিতা মোঃ শহিদুল ইসলাম গ্রাম আলোকদিয়া পোস্ট উপজেলা চাঁদপুর জেলা ঝিনাইদহ এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করিতেছি যে, বিগত প্রায় ছয় মাস আগে আমি অপূর্ব হাসানসহ আমার পরিবারের সাথে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা গান্না ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামের রশিদ বেপারির ছেলে জহির এর সাথে ঝিনাইদহ পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগের মাঠ থেকে উত্তীর্ণ না হয় পুলিশ লাইনের ভিতর থেকে বাহিরে আসলে সামনে থেকে আমার ফাইল নিয়ে বলে আমার পিছনে পিছনে আসো বলে একটি চার দোকানে নিয়ে যায় আমাকে চাকরি প্রভোলনে আকৃষ্ট করে। সেখান থেকে শুরু হয় সম্পর্ক একপর্যায়ে বলে এই চাকরি যেহেতু হলো না সেহেতু সামনে ফায়ার সার্ভিসে চাকরির সুযোগ আছে। তিনি বলেন আমাদের মধ্যে অনেকে সরকারি চাকরি করে তারা সবাই যোগাযোগ করে চাকরি পেয়েছে এই কথা বিশ্বাস এ উনার সাথে গভীর সম্পর্কের মাধ্যমে গড়ে ওঠে পরে জহির তার বন্ধু কোটচাঁদপুর উপজেলার আলুকদিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে জহিরুল ইসলাম এর সাথে পরিচয় করিতে ঢাকা পল্টন এলাকার একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে পরিচয় করিয়ে দেয় তখন জহিরুল ইসলাম বলে আমার গ্রামের বাড়ির ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুর এর আলোকদিয়া গ্রামে তার কিছুদিন পর জহিরুল গ্রামে আসে এবং ফায়ার সার্ভিসের চাকরির ব্যাপারে জহির এর উপস্থিতিতে জহির সাথে ১১ লাখ ৩০০০০ হাজার টাকার চুক্তি হয়। সেই সাথে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান নেওয়া কথা বলে। এবং বলে চাকুরী করতে হলে সরকারি ব্যাংকের নিজামী ও বাবর ভাই এর নামের একাউন্টে দুইটা ৫ লক্ষ টাকার চেক মোট টাকার পরিমাণ হবে ১০ লক্ষ এই শেখ আমাকে অগ্রিম দিতে হবে তাৎক্ষণিক ব্যাংক একাউন্ট না থাকায় জহিরুল ইসলাম আমার বড় ভাই ফারুক হোসেনের সাথে করে ঝিনাইদহ বাজার গোপালপুর অগ্রণী ব্যাংকে নিয়ে যায় আমার ভাইয়ের নামে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলে যাহা অগ্রণী ব্যাংকে চলমান হিসাব চালু আছে যার অ্যাকাউন্ট নাম্বার ০ ২০০০১ ২০৩১ ৩০০ এই অ্যাকাউন্ট নাম্বার প্রথম দুটি সেকের পাতা জহিরুল ইসলামকে দি তারপর থেকে জহিরুল ইসলাম আমাদের চাকরি দেবার কথা বলে তাকা গোছাতে বলে তখন আমার পিতা পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া নিজ নামে ও মাঠ মাথান ২২ শত ও বিটা বাড়ির ২৬ মোট ৬৮ শতক জমি বিক্রয় করে টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়োগে এ বিষয়ে কয়েকদিন পর স্থানীয়রা ইউনিয়নের সারুটিয়া গ্রামের লিয়াকত আলীর স্ত্রী ও এক ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার মোসাম্মদ আয়েশা খাতুন এর উপস্থিতিতে ভিটে বাড়ি বিক্রি করা সাড়ে চার লক্ষ টাকা সর্বপ্রথম দি জহির ইসলাম এর কাছে তারপর আবার পর্যাক্রমে বিভিন্ন ভাবে মোট ১১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা জহিররুলকে এবং চুক্তির সকল টাকা পরিশোধ হয় সেই সময় ব্যাংকের চেক ফেরত চাই তিনি এই চেক তখন তার কাছে নেই বলে জানান পরে ফেরত দিবে বলে আশ্বস্ত করেন। পরে চাকরি হয়নি বলে আমার জানতে পারি তারপর থেকে তার মোবাইলে কল করে চাকরি বাবদ টাকা ফেরত চাইলে বলে টাকা ফেরত দিতে পারব না বড় বাড়াবাড়ি করলে চেকের ১০ লক্ষ টাকাও দিতে হবে রেডি থাক বলে ভয়-ভীতি দেখায় এবং চেক এর বিপরীতে হাইকোর্টে মামলা করার হুমকি দেয় এবং আমাদের কে হত্যা করবে বলে বিভিন্ন লোক মাধ্যমে হুমকি দেয় এক পর্যায়ে গত শনিবার ৬ অক্টোবর ২০১৮ ইংরেজি তারিখে ঢাকা ১১০০ কোতয়ালী কোর্ট হাউস স্ট্রিট পারজোয়ার সেন্টার রুম নং এফ ২৪ (৫তলা) এডভোকেট মোঃ মাসুদুর রহমানের নিকট হতে একটি লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করে জহিরূল ইসলাম। এ ঘটনা আমার গ্রাম সহ জহিরুলের গ্রামের মাতব্বর ও স্থানীয় চেয়ারম্যান মেম্বার মাতব্বর অবগত আছেন এবং এসব টাকা দেওয়ার শাকিব সহ সকল মোবাইল রেকর্ড আছে।সম্মানিত জাতির বিবেক আমি সহ আমার পরিবারের লোকজন এই প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে অবস্থায় দিন কাটাচ্ছি তাই আপনার লেখনীর মাধ্যমে এই প্রতারক চক্রের আইনের মাধ্যমে বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও আমার দেওয়া অগ্রণী ব্যাংকের দুটি চেক ফেরত দেওয়া ১১ লক্ষ টাকা চেয়ে সরকার ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। প্রতারকের বিচার,চেক ও টাকা চেয়ে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এইভাবে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন অপূর্ব হাসান ও তার পরিবার।