কোটচাদপুরে আইসক্রিমের কাঠি তৈরি করে স্বাবলম্বী হচ্ছে অনেক পরিবার

প্রকাশিত: ১২:৩৮ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৮

কোটচাদপুরে আইসক্রিমের কাঠি তৈরি করে স্বাবলম্বী হচ্ছে অনেক পরিবার

ঝিনাইদহ সংবাদ ডেস্ক :

ঝিনাইদহের কোটচাদপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আইসক্রিমের কাঠি তৈরি। বাংলাদেশের সিংহ ভাগ কাঠি-ই সরবরাহ করা হয় এখান থেকে।

আইস ক্রিম কোম্পানীর কাছে এখানকার কাঠির চাহিদা থাকায় ব্যবসা করে লাভবান হচ্ছে ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি কর্মসংস্থান হচ্ছে অসংখ্য বেকার-যুবকের।


ঝিনাইদহ জেলা শহর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দুরে কোটচাদপুর উপজেলার দুধসরা গ্রাম। এই গ্রামেই এখন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আইসক্রিমের কাঠি তৈরি। সারা বাংলাদেশে আইসক্রিম কোম্পানী গুলোতে যে কাঠির প্রয়োজন হয় তার ৭৫ ভাগ কাঠি সরবরাহ করা হয় এই কারখানা গুলো থেকে। এ কাজের সাথে জড়িত রয়েছে উপজেলার শাতধীক মানুষ।


৩ টি ফ্যাক্টরীর মাধ্যমে কাঠি তৈরি করা হচ্ছে। কেউ মিলে কাঠি তৈরি করছে, কেই শুকাচ্ছেন আবার কেই বা ব্যস্ত সময় পার করছেন কাঠির আঁটি বাধতে। আর এই কাজ করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে এখানকার অসংখ্য বেকার-যুবক সহ বয়ষ্কদের।


কাজ করে তারা যে পারিশ্রমিক পাচ্ছে তা দিয়ে চলছে নিজেদের সংসার। পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা কাঠির ব্যবসা করে প্রচুর লাভবান হচ্ছে।


আইস-ক্রিমের কাঠি তৈরির প্রধান উপকরণ ভাটাম গাছ (স্থানীয় ভাষায় লাটিম গাছ) বিভিন্ন এলাকা থেকে কিনে আনা হয়।

এরপর গাছ শুকিয়ে কেটে টুকরো টুকরো করে মেশিনে দিয়ে পাতলা করে পাতা তৈরি করা হয়। এরপর কাটিং মেশিনে দিলে একে একে বের হতে থাকে হাজার হাজার কাঠি।


তৈরি শেষে কাঠিগুলো রোদের শুকিয়ে আটি বেধে বস্তাবন্দী করে রাখা হয়। প্রতি বস্তায় ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ কাঠি থাকে। এরপর বস্তাবন্ধী কাঠিগুলো ট্রান্স পোর্টের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয় আইসক্রিম কোম্পানীগুলোতে।


প্রতি বস্তা কাঠি ২ হাজার ৮ শ’ টাকা করে বিক্রি করা হয় আর উৎপাদনে খরচ হয় প্রায় ২ হাজার ৬ শ’ টাকা।

কাঠির কাজ করা শ্রমিক খায়রুল ইসলাম জানান, এখানে কাজ করে প্রতিদিন ৩শ’ টাকা করে আয় হচ্ছে। এতে পরিবার পরিজন-নিয়ে খুব ভালই চলছে তাদের সংসার।


বাংলাদেশ কাঠি মিল মালিক সমিতির সভাপতি মীর শওকত জানান, লাভ ভালই হয়। সব থেকে বড় কথা মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে এটাই অনেক।

তিনি আরো জানান, চায়না থেকে কিছু কাঠি আসার কারনে বড় বড় আইসক্রিম কোম্পানীতে আমাদের কাঠির চাহিদা কিছুটা কমে গেছে। তাই সরকারের কাছে দাবি যেন দেশীয় এই শিল্পকে ধরে রাখতে চায়না থেকে কাঠি আমদানি বন্ধ করা হয়। এতে করে দেশীয় কাঠির চাহিদা আরো বেড়ে যাবে, প্রসার ঘটবে কাঠি শিল্পের।