এবার দেশ ছাড়লেন ঢাবি শিক্ষার্থী এহসান রফিক

প্রকাশিত: ৪:১৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০১৮

এবার দেশ ছাড়লেন ঢাবি শিক্ষার্থী এহসান রফিক

বিশেষ প্রতিবেদক, কালীগঞ্জ :

ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের মেধাবী ছাত্র এহসান রফিক দেশের বাইরে চলে গেছে। মাস খানেক আগে বিদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনার জন্য এহসান রফিক চলে গেছে বলে জানাগেছে।

তবে তার পিতা প্রফেসর রফিকুল ইসলাম মন্টু বলেছেন, ছেলে মাত্র দেশের বাইরে গেছে। তাকে নিয়ে লেখালেখি হলে তার সমস্যা হতে পারে। তাই তিনি ছেলে এহসান রফিক সম্পর্কে মুখ খুলতে চাননি।

চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এহসানের ওপর হামলা চালায়। লোহার রডের আঘাতে তার মাথায় ও চোখের মারাতœক ক্ষতি হয়।

পরে তাকে কালীগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের নরেন্দ্রপুর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। বাড়িতে এনে তাকে যশোর কমিউনিটি আই হাসপাতালে বারডেম চক্ষু বিভাগের প্রধান প্রফেসর নজরুল ইসলাম তার চিকিৎসা করান। এছাড়া মস্তিকের জন্য ডাঃ আব্দুস সালামকে দেখানো হয়।
পরে পাসপোর্ট ও ভিসা করে এহসান রফিককে কয়েকবার ভারতর চেন্নাইয়ের শঙ্কর নেত্রালয় চোখের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায় হয়।

এ ব্যাপারে এহসান রফিকের পিতা প্রফেসার রফিকুল ইসলাম ছেলে বিদেশে পড়াশুনা করতে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে কোন দেশের কোন ইউনির্ভাসিটিটে পড়তে গেছে এবং কি কারনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সে আর পড়লো না তা তিনি জানাতে অস্বীকৃত জানান।

তিনি আরো বলেন, মাস খানেক হল সে বিদেশে গেছে। এ সময় তাকে নিয়ে লেখালেখি হলে তার সমস্যা হওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি আর মুখ খুলতে চাননি।

প্রসঙ্গত চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি নিজের ধার দেওয়া ক্যালকুলেটর ফেরত চাওয়ায় সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এহসানের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ রয়েছে। এ হামলায় তার একটি চোখ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও মস্তিস্ক আঘাতপ্রাপ্ত হয়।

এ ঘটনায় সে সময় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্র লীগের উপ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মেহেদি হাসান হিমেল, একই হলের সহ-সম্পাদক ওমর ফারুক, সহ-সম্পাদক রুহুল আমিনসহ তিন ছাত্রলীগ নেতাকে বহিস্কার করা হয়।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ