ঢাকা ৩০শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ৩০শে রজব, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১০:০৮ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ২৮, ২০১৭
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার লাঙ্গলবাঁধ বাজার এখন কারেন্ট জালে সয়লাব। কারেন্ট জালের পাশাপাশি প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ পলিথিন। দেদারছে কারেন্ট জাল বিক্রির ফলে দেশী প্রজাতির মাছসহ জীব বৈচিত্র হুমকির মুখে পড়েছে।
অভিযোগ পাওয়া গেছে লাঙ্গলবাঁধ বাজারের বেশির ভাগ শৈলকুপা উপজেলার মধ্যে। আর এক কিছু অংশ মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার অংশ। সেই অংশের ব্যবসায়ী পাংশা উপজেলার সাওড়াইল গ্রামের আব্দুর রশিদ, চিত্ত কুমার, উজ্জল হোসেন, জাহিদ হোসেন ও চাঁদ আলী ট্রেডার্সের মালিক নতুন ভুক্ত মালিথিয়া গ্রামের মোস্তফা দেদারছে নিষিদ্ধ পলিথিন ও কারেন্ট জাল বিক্রি করছে। প্রশাসনের নাকের ডগায় ধীর্ঘদিন ধরে এই ব্যবসা চলে আসলেও তাদের তৎপরা রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না।
সরেজমিন দেখা গেছে লাঙ্গলবাঁধ বাজারের মোস্তফার দোকানে কারেন্ট জাল, পলিথিন, এসিড ও বিস্ফোরক দ্রব্য কেনা বেচা হচ্ছে। তবে তার কোন এসিড বিক্রির লাইসেন্স নেই। স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এই অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে একই বাজারের বিশ্বাস ট্রেডার্সের মালিক শৈলকুপার মালিথিয়ার গ্রামের জাহিদ হোসেন, মুদির দোকানদার নতুন ভুক্ত মালিথিয়া গ্রামের গনেশ কুন্ডু, পল্লব কুন্ডু, অমিত কুন্ডু ও মরিচ হাটার সরজিৎ কুমার প্রকাশ্যে নিষিদ্ধ পলিথিন বিক্রি করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।
অভিযোগ পাওয়া গেছে পার্শ্ববর্তী বদনপুর গ্রামের শ্রী শুকুমার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও পলিথিনের জোগানদাতা হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ঢাকা থেকে পলিথিন এনে লাঙ্গলবাধ বাজারে সরবরাহ করে থাকেন বলে অভিযোগ।
বিষয়টি নিয়ে শ্রীপুর উপজেলার গয়েসপুর ইউনিয়নের মেম্বর লিটু হোসেন জানান, লাঙ্গলবাঁধ বাজারে নিষিদ্ধ পলিথিন ও কারেন্টজাল বিক্রির বিষয়ে আমরা প্রশাসনকে বলেছি, কিন্তু তারা কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেন না।
তিনি বলেন এগুলো বিক্রি বন্ধ না করলে পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতি।
এ ব্যাপারে শৈলকুপার লাঙ্গলবাধ পুলিশ ক্যাম্পের তদন্ত কর্মকর্তা সমীরণ কুমার বলেন, আমরা অভিযোগটি তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবো। তিনি বলেন মাগুরার শ্রীপুর অংশের কিছু দোকানে এই অবৈধ পন্য বিক্রি হচ্ছে বলে শুনেছি। কিন্ত ভৌগলিক কারণে ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। তবে আমাদের অংশে এ সব বিক্রি হয়না বলে তিনি দাবী করেন।
Design and developed by zahidit.com