সুমন মালাকার: স্থানীয় খাদ্য বিভাগ চলতি বছর আমন চাল সংগ্রহের লক্ষমাত্রা অর্জন করলেও গত ইরি বোরো মৌসুমে তা ছিল প্রায় শুন্যের কোঠায়। বাজার মূল্য ও সরকার নির্ধারিত মূল্যে ব্যাপক ব্যবধান থাকার কারণে খাদ্য বিভাগ কে মাত্র ৬৮ মেঃ টন চাল সংগ্রহ করেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়।
গত বছর ইরি বোরো মৌসুমে সরকারি লক্ষমাত্রা ছিল ৭’শ ৩৮ মেঃ টন। তখন খুচরা বাজারে সর্বনিম্ন প্রতি কেজি চালের দাম ছিল ৪০ থেকে ৪১ টাকা। অথচ সরকার নির্ধারিত দর ছিল ৩৪ টাকা। যে কারণে ব্যবসায়ীক লোকসান এড়াতে খাদ্য বিভাগের তালিকাভূক্ত মিলাররা চাল সরবরাহ করেননি। শুধুমাত্র আলফা রাইচ মিল, জাহিদুল ইসলাম (জাহিদ) ও খান এন্টারপ্রাইজ নামের ৩ চাউল কল মালিক খাদ্য বিভাগের অনুরোধে এ চাল সরবরাহ করেন। খাদ্য বিভাগের তালিকাভূক্ত ২৬ জন মিলার রয়েছেন। ইরি বোরো মৌসুমে ২৩ জন মিলার চাল সরবরাহ না করার কারণে তাদেরকে কালো তালিকাভূক্ত করা হয়েছে। সাথে সাথে আগামী দুই আহরণ মৌসুমে তাদের কাছ থেকে কোন খাদ্য শষ্য নেওয়া হবে না। চলতি বছর আমন মৌসুমে চাল ক্রয়ের লক্ষমাত্রা ছিল ৭০ মেঃ টন। সংগ্রহ শুরু হয় ১৮ ডিসেম্বর। ২৮ ফেব্রুয়ারীর মধ্যে মিলারদের চাল দেয়ার শেষ সময় বেঁধে দেওয়া হলেও ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে তা শেষ হয়। পূনরায় জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের বিশেষ বরাদ্দ আসে ৫৪ মেঃ টন। যা ৮ জানুয়ারীর মধ্যেই নেওয়া শেষ হয়েছে। চলতি বছর সরকার নির্ধারিত প্রতি কেজি চালের মূল্য ছিল ৩৯ টাকা। খোলা বাজারে তুলনামূলক দাম কম থাকার কারণে খুব সহজেই লক্ষমাত্রা অর্জিত হয়।