কালীগঞ্জঃ
অর্থ আত্মসাৎ সহ একাধিক অনিয়মের অভিযোগে কালীগঞ্জ চাপরাইল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিনকে ফের দ্বায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে তার স্থলাভিসিক্ত করা হয়েছে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নারায়ন চন্দ্র বসুকে।
বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি আব্দুল হক বিশ্বাস স্বাক্ষরিত গত ২৪ ডিসেম্বর যশোর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক বরাবর প্রেরিত অব্যহতি পত্রটি মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ঢাকা ও ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সহ বিভিন্ন দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।

সভাপতি স্বাক্ষরিত অব্যহতি পত্র ও রেজুলেশন বহিতে উল্লেখ করা হয়েছে, উক্ত প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন অর্থ আন্তসাৎ সহ নানা কেলেংকারীতে জড়িয়ে ইতিপূর্বে একবার বহিস্কৃত হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি পূনরায় স্বপদে ফিরে এসে আবারও নিজেকে অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। তিনি গত ১৪/১১/১৭ ইং তাং থেকে এক মাসের ব্যাবধানে ৫ টি ভাউচারের মাধ্যমে বিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে অর্থ উত্তোলন করেন। যার মধ্যে পরিক্ষা নিরিক্ষায় দেখা যায় খরচ না করেই প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন ৩ টি ভ’য়া ভাউচারের মাধ্যমে অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাৎ ধরা পড়ে। এ ছাড়াও অভিযুক্ত উক্ত শিক্ষক বিভিন্ন খাতে আরো অনেক অনিয়ম করেই চলেছেন।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য সদর উদ্দিন জানায়, এলাকাবাসীর প্রচেষ্টায় বর্তমানে অত্র বিদ্যালয়টি নতুন করে জেএসসি ও এসএসসির পরিক্ষা কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে। এ কারনে একজন দুর্ণিতীবাজ প্রধান শিক্ষকের কারনে বিদ্যালয় টি আগামীতে সুনাম ও ভাবমূর্তি নষ্ট হতে পারে।

বিদ্যালয়ে অপর এক সদস্য জানায় সম্প্রতি উক্ত শিক্ষক আলাউদ্দিন যশোর বোর্ড থেকে পার্শ্ববর্তী একটি বিদ্যালয়ের চিঠি ও মূল্যবান কাগজপত্র চুরি করে আনেন। বিষয়টি ফাস হয়ে পড়ায় বোর্ড কন্ট্রোলার উক্ত শিক্ষকের উপর চরম নাখোশ হয়। এবং তাৎক্ষনিক উক্ত অসৎ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে মৌখিক ভাবে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে অবহিত করেন। সব মিলিয়ে নানা অপকর্মের দোষে পরিচালনা পর্ষদ শিক্ষক আলাউদ্দিনকে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে অব্যহতি দিতে বাধ্য হয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে শিক্ষক আলাউদ্দিনের সাথে তার ০১৮৩৩-৬৭৫৬২৭ নং মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।