ঢাকা ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১:৪৪ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১৭, ২০২৩
ঝিনাইদহ সংবাদ ডেস্কঃ
ঝিনাইদহ শহরে অবস্থিত সোনালী ব্যাংকের পিন্সিপাল শাখা ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবসটি কোন রকমে দায়সারা র্যালী ও সংক্ষিপ্ত আলোচনার মধ্যে দিয়ে পালন করেছে।
দীর্ঘদিন ধরে যথাযথ মর্যাদায় হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শোকাবহ দিনটি নানা কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে পালন করে আসছে শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। কিন্তু এ বছর নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে শুধু মাত্র একটি র্যালী সংক্ষিপ্ত পরিসরে আলোচনা ও নাস্তার মাধ্যমেই শেষ করেছে বর্তমান কর্তৃপক্ষ।
এমন ঘটনার পর ব্যপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে ব্যাংক ও রাজনৈতিক মহলে।
আগের দিনগুলোতে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন বিভিন্ন স্তরের বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মানুষ ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে শোক দিবসে দোয়া মাহফিল, তাবারক বিতরণ ও আলোচনা অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে পালন করার রেওয়াজ রয়েছে। কিন্তু এবার এরকম কোন আনুষ্ঠানিকতা করা হয়নি। এক্ষেত্রে বিগত সময়ের ১৫ আগস্টসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবসের আয়োজন খতিয়ে দেখলে স্পষ্ট দেখা যায় সোনালী ব্যাংক, ঝিনাইদহ অঞ্চল সকল শ্রেনীর কর্মকর্তা কর্মচারীর সরব উপস্থিতিতে আড়ম্বর পূর্ণ অনুষ্ঠান করে এসেছে।
এতে করে সরকার তথা সোনালী ব্যাংকের ভাবমূর্তি দারুণভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে বলে প্রতিয়মান হয়। বিগত বছরগুলোতে এ দিনটিতে সোনালী ব্যাংক এর প্রধান কর্যালয়সহ এতিমখানায় উন্নত খাবার পরিবেশনসহ বিভিন্ন কর্মকান্ডের মধ্যে দিয়ে পালিত হয়।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে কথা বললে তারা অভিযোগ করেন সরকারের বিপক্ষ মনোভাবাপন্ন কর্মকর্তাদের চাপে আর তাদের কৌশলী নেতিবাচক প্রভাবে এই সমস্ত কর্মসূচিসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে চাপিয়ে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
নাম প্রকাশ্যে এক নারি কর্মকর্তা জানান,আমরা র্যালী শেষ করে অফিসে এসে একটু আলোচনা ও দোআ করেছি! তারপর একটা নাস্তার প্যাকেট হাতে ধরিয়ে দিয়েছে এখন বাসায় চলে যাচ্ছি!
অপরদিকে কতৃপক্ষ আলোচনা ও দোআ অনুষ্ঠান করার দাবি করলেও বাস্তবে নিয়ম রক্ষার জন্য যতটুকু না করলেই না তেমনটিই লক্ষ করা গেছে ১৫ ই আগস্টের শোক দিবসে!
ঝিনাইদহ জেলা শাখা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি এএইচএম আক্তারুল ইসলাম জানান, প্রতিবছর ১৫ আগস্ট পালনে কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে পরামর্শ করতো অনেক ধরনের আয়োজনও থাকতো। এবার ১৫ আগস্টে আমাদের জানায়নি। তবে শুনেছি দ্বায়সারাভাবে একটি র্যালী করেছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক একটি ঘটনা যা বিগত বছরগুলোতে হলেও এ বছর কেন হল না একটা প্রশ্ন থেকে যায়।
ঝিনাইদহ সোনালী ব্যাংক প্রিন্সিপাল অফিস প্রধান আব্দুল মোমেন এ বিষয়ে জানান, আমরা একটি র্যালী করেছি। অফিস স্টাফদের নিয়ে দোয়া মাহফিল করেছি। মাহফিলের অনুষ্ঠানটিও আমাদের নির্দেশনা ছিল না আমরা ব্যক্তিগতভাবে করেছি। কোন প্রোগ্রামের জন্য আমাদের কোন নির্দেশনা ছিল না গণভোজ ও এতিম বাচ্চাদের মধ্যে খাবার পরিবেশন এর বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন এমন কোন নির্দেশনা আমাদের ছিল না শুধুমাত্র খাবার পরিবেশন করেছে আমাদের জিএম অফিস।
Design and developed by zahidit.com