বিএডিসির ভুট্টা বীজ লাগিয়ে দিশেহারা কোটচাঁদপুরের কৃষকেরা

প্রকাশিত: ৭:১৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩০, ২০২২

বিএডিসির ভুট্টা বীজ লাগিয়ে দিশেহারা কোটচাঁদপুরের কৃষকেরা

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি-
বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসার কর্পোরেশন(বিএডিসি)’ভূট্রার বীজে চারা না গজানোর অভিযোগ ঝিনাইদহ কোটচাঁদপুরের চাষিদের। এতে করে ১হাজার ২ শত চাষির কয়েক লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন তারা। উপজেলার বলাবাড়িয়া গ্রামের ভূট্রা চাষি বিল্লাল হোসেন ও আবু বক্কর বলেন, আমরা সরকারি প্রণোদনার ভূট্রা বীজ ও সার পেয়ে ছিলাম। ওই বীজ বপন করে আমাদের জমিতে একটা চারাও হয়নি। এছাড়া আমাদের সঙ্গে যারা ওই বীজ বপন করেছিল তাদেরও একই অবস্থা।
এর মধ্যে রয়েছে, ইউপি সদস্য বাবুল হোসেন, খোকন মন্ডল, জাকির হোসেন,আমির হোসেন,বজলে শেখ, ইফাদুল ইসলাম, শামসুল ইসলাম, টিটোন রহমান, মাসুম খান।
ওই গ্রামের ছোট বাবু বলেন, আমি সরকারি প্রণোদনার বীজ, সার পায়নি। আমি আমাদের সাইনবোর্ড বাজারের সাইফুল ইসলামের দোকান থেকে ৩ কেজি ভূট্টার বীজ কিনে ছিলাম। ওই বীজের মধ্যে সে এক প্যাকেট সরকারি বীজ দিয়ে দেন জোর করে। গ্যারান্টি দেন চারা গজানোর। বীজসহ মোট তিন কেজি বীজ জমিতে লাগিয়ে ছিলাম। এরমধ্যে সরকারি বীজে একটা চারাও হয়নি। পরে তিনি ওই দোকানিকে জানালে, তিনি বীজটা ফ্রি দিতে চেয়েছেন।
তিনি বলেন, এক বিঘা জমি তৈরিসহ সার মিলিয়ে আমার ৬ হাজার টাকার মত খরচ হয়েছে। প্রতিটি চাষিরই এ ধরনের খরচ হচ্ছে বলে এলাকার চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, শুধু বলাবাড়িয়া গ্রামের চাষিদের না,পুরো উপজেলায় একই চিত্র। এ মৌসুমে আমরা ১২ চাষিদের মধ্যে ভূট্রার বীজ ও সার দিয়ে ছিলাম। তাদের কারোরই চারা হয়নি।
ইতোমধ্যে আমরা মাঠ ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করেছি। আপনারা বিএডিসি কে জানিয়েছেন কিনা, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, না আমরা তাদেরকে জানাবো না। আমরা আমাদের কৃষি বিভাগের স্যারদের অবহিত করবো। যা করারা ওনারা করবেন।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মহাসীন আলী বলেন, আমরা তথ্য সংগ্রহ করে পাঠিয়েছি। যা ব্যবস্থা নেওয়ার আমাদের কৃষি বিভাগ নিবেন।
ঝিনাইদহ (বিএডিসি) বীজ বিভাগের উপ-সহকারী পরিচালক সুমি বারুই বলেন, কোন কৃষি অফিস আমাদের এ ঘটনা জানাননি। আপনার কাছে এ প্রথম জানলাম। তবে বীজ এমন হওয়ার কথা না। বীজ কিছুদিন চাষিদের হাতে পৌছাতে দেরি হয়েছে। আর আমরা বীজের সব ধরনের পরিক্ষা নিরিক্ষা করে কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছি। আমরা কোন চাষিকে এ বীজ দেয়নি।