মিনি পুকুর খননে কমেছে সেচ খরচ, বিঘা প্রতি ধান বেশি হয়েছে ৪মণ

প্রকাশিত: ১২:২৮ অপরাহ্ণ, জুলাই ৪, ২০২১

মিনি পুকুর খননে কমেছে সেচ খরচ, বিঘা প্রতি ধান বেশি হয়েছে ৪মণ

বিশেষ প্রতিনিধি॥

সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় “পানি সাশ্রয়ী কার্যকরী কৃষি অনুশীলন প্রকল্প” এর আওতায় জমির এক কোনায় মিনি পুকুর খনন করে ধানচাষে সেচ খরচ কমেছে। এছাড়া বিঘা প্রতি ধানের আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ থেকে ৪মন। আর ওই মিনি পুকুর পাড়ে সবজীর আবাদ ও পুকুরে মাছ চাষ করে বছরে প্রায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা বাড়তি আয় হয়েছে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষে “প্রকল্প মূল্যায়ন“ জরিপে এমনটি জানালেন কালীগঞ্জের সুন্দরপুর ও দুর্গাপুর এবং নিয়ামতপুর ইউনিয়নের উপকারীভোগী কৃষকরা।

শনিবার সকালে সরেজমিনে প্রকল্পের মূল্যায়ন জরিপের সময় কথা হয় মহাদেবপুর গ্রামের কৃষক শিশির বিশ্বাস, কমলাপুর গ্রামের মঈনুদ্দীন বিশ্বাস, সুন্দরপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মজিদসহ একাধিক উপকারভোগী চাষীরা সাথে। তারা জানান, ২০১৯ সালে সোনার বাংলা ফাউন্ডেশন জাপান ফান্ড ফর গ্লোবাল এনভাইরমেন্ট (জেএফজিই) আর্থিক সহযোগিতায় “পানি সাশ্রয়ী কার্যকরী কৃষি অনুশীলন প্রকল্প” এর কাজ শুরু করে। সে সময় সোনার বাংলা ফাউন্ডেশন নিয়ামতপুর ও সুন্দরপুর-দুর্গাপুর ২টি ইউনিয়নের ১০০ জন চাষীকে ১০০ টি পুকুর কেটে দেন। প্রতিটি পুকুর কাটতে তারা ১০ হাজার টাকা ব্যয়ে করেন। এরপর পুকুরে পানি কিভাবে সংরক্ষণ করতে হবে, কিভাবে ক্ষেতে দিতে হবে, পুকুর পাড়ে কিভাবে সবজী উৎপাদন করতে হবে সেসব বিষয়ে তাদের ওরিয়েন্টেশন দেয়া  হয়। এছাড়া বীজ সংরক্ষণের জন্য তাদের ড্রাম প্রদান ও প্রশিক্ষণও দেয়া হয়। লাভজনক সফল উৎপাদনে রোরোর পরিবর্তে রবি শস্য চাষে উদ্বুদ্ধও করা করা।

উপকারভোগী কৃষকরা সোনার বাংলার ফাউন্ডেশনের কাছ থেকে এসব প্রশিক্ষণ নিয়ে গেল রোরো মৌসুমে ধান আবাদ করে লাভবান হয়েছে। তাদের দেখাদেখি আরো ৩শ কৃষক এ পদ্ধতিতে ধান উৎপাদন করে লাভবান হয়েছেন। সোনার বাংলা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শিবুপদ বিশ্বাস বলেন, প্রকল্পের শুরুতে কৃষকদের ধান চাষাবাদ নিয়ে একটি বেজ লাইন সার্ভে করা হয়েছিল। আর প্রকল্প শেষে এখন “প্রকল্প মূল্যায়ন” করা হচ্ছে।

 

অধিকাংশ কৃষকই জানাচ্ছেন, জাপান ফান্ড ফর গ্লোবাল এনভাইরমেন্ট (জেএফজিই) এর আর্থিক সহযোগিতায় “পানি সাশ্রয়ী কার্যকরী কৃষি অনুশীলন প্রকল্প” এর মাধ্যমে কৃষকরা লাভবান হয়েছেন। অর্থাৎ জমির কোনায় মিনি পুকুর খনন করে জমিতে সেচ দেয়ায় তাদের সেচ খবর কমেছে, পুকুরের মাছ বিক্রি করে লাভবান হয়েছে এবং পুকুর পাড়ে লাগানো শাকসবজী লাগিয়ে সেটি বিক্রি করেছেন পাশাপাশি পরিবারের চাহিদাও মেটাতে পেয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, এ প্রকল্প থাকুক আর না থাকুক সেটি মূখ্য বিষয় নয়, এ পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলে কৃষকরা ধানচাষে লাভবান হবেন। এ সময় তিনি প্রতিটি কৃষকের হাতে বিনামূল্যে বেগুনের চাষা তুলে দেন।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ