ঢাকা ২৪শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২২শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ১২:০৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২১
ঝিনাইদহ সংবাদ ডেস্ক:
বিশেষ দিবসের বাজার ধরতে ভালো ফলনের আশায় শেষ সময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন ঝিনাইদহের ফুলচাষীরা। সকাল থেকে রাত অবধি ফুল পরিচর্যা করছেন তারা। ফলন ভালো পেতে জমিতে করছেন ঔষধ স্প্রে, দিচ্ছেন সেচ ও সার। ফলন আর দাম ভালো থাকায় এ বছর ফুল বিক্রি করে গতবারের লোকসানের পাল্লা কমানোর আশা তাদের।
ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, চলতি অর্থ-বছরে এখন পর্যন্ত জেলার ৬ উপজেলায় ১’শ ৭০ হেক্টর জমিতে ফুলের আবাদ হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, গাদা, গোলাপ, গ্লাডিওলাস, রজনীগন্ধা, জারবেরা, চন্দ্রমল্লিকা। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস আর বসন্ত দড়জায় কড়া নাড়ছে। কয়েকদিন পরেই আন্তজার্তিক মাতৃভাষা দিবস। এই ৩ দিবসে ফুলের চাহিদা বেশি থাকে। চাহিদা বেশি থাকায় দামও থাকে চড়া। বেশি দামের আশায় ফলন ভালো করার জন্যই ব্যস্ততা বেড়েছে জেলার সদর, কোটচাঁদপুর, কালীগঞ্জ ও মহেশপুর উপজেলার ফুলচাষীদের।
সদর উপজেলার গান্না গ্রামের ফুলচাষী বাধন সরকার বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারিতে গাদা ফুলের দাম বেশি হয়। এইজন্যি ফুল গাছে টানা দিচ্ছি। যাতে গাছটা শক্ত থাকে। ভাঙ্গে না যায়। ভগবান মুখ তুলে তাকালি এবার ভালো দাম পাবো।
একই এলাকার ফুলচাষী শহিদ মৃধা বলেন, গতবারতো করোনার কারণে আমরা ফুলে লোকসান খাইচি। এবার দাম ভালো যাচ্ছে। এইজন্যি ফুলে ঔষধ স্প্রে করছি। যাতে ফুল ভালো থাকে।
কোটচাঁদপুর উপজেলার ইকরা গ্রামের ফুলচাষী তাহের আলী বলেন, কয়দিন আগেও এক ঝুপা গাদা ফুলের দাম ৩০ থেকে ৪০ টাকা ছিল। গত ২ দিন হলো দাম ভালো যাচ্ছে। একুন প্রতি ঝুপা ফুল ৮০ থেকে ১’শ টাকা বিক্রি হচ্চে। এভাবে দাম থাকলি আমরা গতবারের লোকসান কভার করতি পারবো। কালীগঞ্জ উপজেলার বেলেডাঙ্গা গ্রামের ফুলচাষী রশিদ মিয়া বলেন, ভালোবাসা দিবস ও বসন্তবরণ উপলক্ষে জারবেরা, গোলাপ, রজনীগন্ধা ফুলের দাম ভালো পাওয়া যায়। তাই আমরা কয়েকদিন আগে থেকে এক ধরনের ক্যাপ পরিয়ে দিয়েছি। ১৩ ফেব্রুয়ারি ফুলগুলো বিক্রি করবো। ভালো দামের আশা করছি আমরা।
একই এলাকার ফুলচাষী আলমগীর হোসেন বলেন, আমরা এই তিন দিবসের জন্যই মুলত অপেক্ষা করি। বচরের অন্য সুমায় যা বিক্রি হয় তা খরচ ওটে মাত্র। এখন যে বেশি দাম পাই সেটায় লাভ থাকে। কিন্তু এই সুমায় প্লাস্টিক ফুল আমদানি করলি আমরা দাম ভালো পায়নে। তাই দেশের বাইরে থেকে প্লাস্টিক ফুল যেন সরকার আমদানি না করে।
এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ হালদার বলেন, করোনা, ঘুর্ণিঝড় আম্পানের কারণে গতবছর এ এলাকার ফুলচাষীরা চরম লোকসানের সম্মুখিন হয়েছে। এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফুল ভালো উৎপাদন হয়েছে। এছাড়াও ফলন ভালো পেতে কৃষকদের প্রশিক্ষণসহ প্রযুক্তিগত নানা প্রকার সহযোগিতা করা হচ্ছে।
Design and developed by zahidit.com