ঢাকা ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২৩শে জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি
প্রকাশিত: ৮:০২ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২৮, ২০২০
ঝিনাইদহ সংবাদ ডেস্ক:
জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি হামিদুর রহমানের ৪৯ তম শাহাদত বার্ষিকী আজ (বুধবার)। ১৯৭১ সালের এই দিনে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার ধলাই সীমান্তে পাক হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন তিনি।
জানা যায়, ১৯৫৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি তৎকালিন যশোর জেলার (বর্তমানে ঝিনাইদহ জেলা) মহেশপুর উপজেলার খোর্দ্দ খালিশপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন হামিদুর রহমান। তার নামে বর্তমানে এ গ্রামের নাম হামিদনগর।
শৈশবে খালিশপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পরবর্তীকালে স্থানীয় নাইট স্কুলে সামান্য লেখাপড়া করেন তিনি। ১৯৭০ সালে তিনি সেনাবাহিনীতে সিপাহী পদে যোগ দেন৷ সেনাবাহিনীতে ভর্তির পরই প্রশিক্ষণের জন্য তাকে চট্টগ্রামের ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট সেন্টারে পাঠানো হয়৷ মহান মুক্তি যুদ্ধ শুরু হলে হামিদুর রহমান মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। মৌলভীবাজার জেলার ধলাইতে ছিল পাক বাহিনীর শক্ত ঘাঁটি। ২৮ অক্টোবর ধলাই পাক সেনা ঘাঁটি আক্রমন করে মুক্তি বাহিনী। তুমুল যুদ্ধ শুরু হয়। মেশিনগান পোষ্ট ধ্বংসের দায়িত্ব পড়ে হামিদুর রহমানের উপর। এ বীর এগিয়ে যান। ধ্বংস করেন মেশিনগান পোষ্ট। মুক্তি বাহিনীর দখলে আসে পাক সেনাঘাঁটি। শত্রুর গুলিতে তিনি শাহাদাৎ বরণ করেন। তার সহযোদ্ধাগণ মরদেহ ভারতে নিয়ে ত্রিপুরার আমবাশা এলাকায় সমাহিত করেন। দেশ স্বাধীনের পর বাংলাদেশ সরকার মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বীরশ্রেষ্ঠ খেতাব দেয়। ২০০৭ সালে এ বীরের দেহাবশেষ ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে এনে ঢাকার মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবি কবরস্থানে পুনরায় সমাহিত করা হয়েছে।
তার নামে মহেশপুরের খালিশপুরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সরকারি কলেজ, লাইব্রেরী ও জাদুঘর, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সড়ক।
Design and developed by zahidit.com